স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধানবার্তা
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার অপহৃত দুই মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে র্যাব-১২ এর একটি দল। এঘটনায় অপহরকারী চক্রের এক সদস্যকেও গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃত মারুফ হাসান (১৯) নন্দীগ্রাম থানাধীন কল্যাননগর এলাকার মাহফুজার রহমানের ছেলে।
শনিবার (২৭ জুলাই) ভোর রাতে বগুড়া শহরের খান্দার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম থানাধীন কল্যাননগর ইউনিয়নের ভাটগ্রাম থেকে গত ২২ জুলাই সকাল ৯টার দিকে স্থানীয় একটি দাখিল মাদ্রাসার ৭ম ও ৯ম শ্রেণীতে পড়ুয়া দুই বন্ধবী তাদের বাড়ী থেকে পাশের বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হয়। কিন্তু তারা বাড়ীতে ফিরে না আসায় তাদের অভিভাবকরা আত্মীয় স্বজনদের বাড়ীতে অনেক খোঁজাখুঁজি করে। কিন্তু এরপর তাদেরকে না পেয়ে নন্দীগ্রাম থানায় ও র্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া ক্যাম্পে বিষয়টি জানায়।
পরবর্তীতে র্যাবের গোয়েন্দা টীম অপহরণকারীদের গ্রেফতার ও অপহৃত ছাত্রীদের উদ্ধারে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে এবং বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে।
২৭ জুলাই দিবাগত রাত ১ টার দিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১২ এর একটি দল বগুড়া জেলার সদর থানাধীন খান্দার মোড় এলাকা থেকে অপহরণকারী মারুফ হাসানকে (১৯) গ্রেপ্তার করে। এরপর তার দেওয়া তথ্যমতে বগুড়া শহরের একটি বাসা থেকে অপহৃত দুই ছাত্রীকে উদ্ধার করে র্যাব।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, অপহরণকারী চক্র ওই দুই ছাত্রীকে ফুসলিয়ে নন্দীগ্রাম এলাকা থেকে বগুড়া শহরে নিয়ে আসে। অপহরণকারী চক্র ওই ছাত্রীদেরকে ভয় দেখিয়ে চট্রগ্রামে নিয়ে বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। কিন্তু লকডাউনের জন্য কোন সুবিধা জনক গাড়ী না পাওয়ায় তারা বগুড়া শহরে তাদের একটি বাসায় আটকিয়ে রাখে এবং ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষন করার চেষ্টা করে। এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারী অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়।
র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন, (জি), বিএন জানান, অপহৃত দুই ছাত্রীকে উদ্ধার করে মেডিকেল চেকআপের জন্য নন্দীগ্রাম থানার সহায়তায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আটককৃত অপহরণকারীকে নন্দীগ্রাম থানায় সোপর্দ করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।