সাজু মিয়া, শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি :
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পল্লীতে এক স্বামী পরিত্যক্ত নারীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করায় ৭ মাসের অন্তঃসত্বা হয়ে পড়েছে। এঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর সোমবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃত শাফিউল ইসলাম (২৫) উপজেলার কিচক ইউনিয়নের মাটিয়ান দক্ষিণ পাড়া গ্রামের হামেদ আলীর ছেলে।
মামলাসূত্রে জানা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের মাটিয়ান দক্ষিণ পাড়া গ্রামের জনৈক এক ব্যক্তির মেয়ের (২২) সঙ্গে উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের শংকপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম বিয়ে হয়। গত ৩ বছর পূর্বে পারিবারিক কলহের কারণে ওই গৃহবধুর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
তারপর থেকে মেয়েটি তার একটি সন্তান কে নিয়ে তার দরিদ্র পিতার বাড়িতেই বসবাস করে আসছে। এই সুযোগে একই গ্রামের হামেদ আলীর ছেলে অনার্স পড়ুয়া ছাত্র শাফিউল ইসলাম (২৫) এর কু-নজর পরে ওই নারীর উপর। একপর্যায়ে সে ওই নারীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। প্রেমিক কৌশলে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ওই নারীকে একাধিকবার ধর্ষণ করায় ৭ মাসের অন্তসত্বা হয়ে পড়ে।
এদিকে ওই নারী শাফিউল ইসলামকে বিয়ের কথা বললে তাল বাহানা করে কালপেক্ষপন করতে থাকে। এতে নিরুপায় হয়ে তার বাবা বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষক শাফিউল ইসলামকে আটক করে।
শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে এবং অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া ওই মেয়ে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।