সাজু মিয়া, শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি :
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার আটমূল ইউনিয়নে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। যা এখন দৃশ্যমান। অভূতপূর্ব উন্নয়নে ইউনিয়নবাসী ও ভাতা ভোগীরাও খুশি। তাই আগামী নির্বাচনে সুদ ও ঘুষখোর মানুষদেরকে ভোট দিবেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে সাধারণ ভোটাররা।
শিবগঞ্জ উপজেলার আটমূল ইউনিয়নটি ধান ও আলু ফসলের জন্য বিখ্যাত। এ ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবি। তারা কৃষি কাজের উপর নির্ভর করে এবং মাঠে পরিশ্রম করে ফসল ফলায়। উক্ত ইউনিয়নের জনসংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার, ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার। এই ইউনিয়নে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে সফল চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি ২০০৩ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে জনগণের সমর্থন নিয়ে ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে জনগণকে সাথে নিয়ে গ্রাম গুলোতে উন্নয়ন মূলক কাজ করছেন।
গ্রামের ছোট ছোট রাস্তায় আরসিসি পাইপ, ইটের সোলিং, ড্রেন, কালভার্ট, গাইড ওয়াল, নলকূপ, মাটির রাস্তা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, ভিজিডির খাদ্য সহায়তা, সেনেটারী ল্যাট্রিন, মাদ্রাসা স্কুল কলেজ গ্যারেজ, হাট-বাজারের উন্নয়ন, করোনাকালীন সময়ে মাস্ক বিতরণ, হাত ধৌয়ার জন্য হ্যান্ড সেনেটারী এবং সচেতনা মূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। তার এসব কর্মকান্ড অতীতের কোন চেয়ারম্যানদের করতে দেখা যায়নি। ধনী-দরিদ্র সব মানুষই তার কাছে সমধিকার পান বলে জানিয়ে সাধারণ ভোটারা।
সরেজমিনে ইউনিয়নে ঘুরে ঘুরে দেখা গেছে, চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেনের উন্নয়নের চিত্রগুলো।
আটমূল ইউনিয়নের করিম উদ্দিন, চুন্নু মিয়া, দিলবর হোসেন, আকবর আলী, ভ্যান চালক শাহ জাহান, ইজি চালক তোহা মিয়া, ট্রাক চালক সিরাজুল ইসলাম, কৃষক দানিজ উদ্দিন, ফরিদ মিয়া, বুলবুল হোসেন, হারেজ উদ্দিন, কালু মিয়া, ঠান্ডা মিয়া সহ আরো অনেকে বলেন, আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারমান বংশীয় চেয়ারম্যান। তার মন প্রাণ সব কিছুই আছে। গত ১৩ বছর ধরে ইউনিয়নের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। কিন্তু কিছু লোকের প্রতি হিংসায় মামলা মোকর্দ্দমায় অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে তারা চেয়ারম্যানের কিছুই করতে পারেননি। ভাল কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় বাঁধা বিঘ্ন হতে হয়েছে।
বিধবা সখিনা বেওয়া, জোসনা বেওয়া, আলেফা বেওয়া, লিপি বেওয়া, জহুরা বেওয়ার মত অনেকে বলেন, আপনি কী সাংবাদিক? কি জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছেন? উত্তরে তাদের সাথে ইউনিয়ন মূলক বিষয়ক কথা বললে তারা বলেন, শোন বাবা চেয়ারম্যান আমাদের ছেলের মত রাস্তা ঘাটে ডাকলে কথা বলে। তারা ধনী মানুষ সুদ খায় না, ঘুষ খায় না, বগুড়াতে বাড়ী আছে। তারা দুই ভাই, ভাতিজা-ভাতিজি সহ পরিবারের সবাই ভাল। মানুষকে দান করে। আর বাবা একটা কথা শোন ভাল মানুষের দাম নেই। আজকাল খারাপ মানুষের দাম আছে। খারাপ মানুষগুলো মারে খায়, ঘুষ খায়, সুদ খায়, গাজা খায়, বাবা খায়, মা-বাবাকে মারে এরাই ভালো। সামনে ভোট আসুক আমরা ভোটে বুঝিয়ে দিব সুদখোর-ঘুষখোর মানুষদের ভোট নাই।
উন্নয়নের বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন সাথে কথা বললে তিনি বলেন, জনগণ আমাকে ভোট দিয়েছেন ইউনিয়নের উন্নয়ন মূলক কাজ ও মানুষের পাশে থাকার জন্য। তাই আমার সাধ্য মত চেষ্টা করে যাচ্ছি। দেখার মালিক আল্লাহ। যে কয়েক দিন বেঁচে আছি তত দিন যেন জনগনের পাশে থেকে ইউনিয়নের উন্নয়ন মূলক কাজ করতে পারি। এটিই আমার আশা, ভোট জনগণের হাতে যাকে খুশি তাকে দিবে, তবে আমি ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের পাশে থেকে উপকারের চেষ্টা করছি। তবে জনগণ আমার কথায় যাতে কষ্ট কষ্ট না পায় তার জন্য সর্বক্ষণিক চেষ্টা চালাচ্ছি।