বগুড়া সদর প্রতিনিধি :
বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধের জন্য সব রকম চেষ্টা ও কৌশল অবলম্বন করেছে। হত্যাকারীদের পূর্ণবাসন করে বিলাসী জীবন-যাপনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে জিয়াগং।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে খালেদা জিয়া ও জিয়ার দেখানো পথ অবলম্বন করে এই হত্যাকারীদের কারাগার থেকে মুক্ত করে দেশেই ব্যবসা-বাণিজ্যের পথ সুগম করে দিয়েছিল। বিএনপি-জামাত জোট সরকার খুনীদেরকে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন। তাদের মদদেই একুশে আগস্টের নারকীয় গ্রেনেড হামলা সংঘটিত হয়েছিল। বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় থাকলে দেশে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বৃদ্ধি পায়।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বানচাল করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে বিএনপি-জামাত। কিন্তু স্বাধীন এই বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের জন্য সবসময় সোচ্চার ছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনা ২৫ বছর পর সরকার গঠন করে জাতির দীর্ঘদিনের আকাঙ্খা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরু করেন।
শেখ হাসিনার দৃঢ়তাই, সততায় ও অসীম সাহসিকতাই ১৫ আগস্ট এর হত্যাকান্ডে বিচার সম্ভব হয়েছে। দেশবাসী এখন আশা করে অবশিষ্ট খুনিদের রায় কার্যকর করে ১৫ আগস্ট ও একুশে আগস্টের নারকীয় এই হত্যাকাণ্ডের পিছনের কুশীলবদেরও তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানান।
কনিবার (২৮ আগস্ট) সকাল ১১ টার দিকে শহরের টেম্পল রোড দলীয় কার্যালয়ে বগুড়া জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বগুড়া জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহবায়ক রাসেল আহম্মেদ কনকের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কামরুজ্জামান মানিক এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট জাকির হোসেন নবাব, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আল রাজি জুয়েল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক খালেকুজ্জামান রাজা, সদস্য রুমানা আজিজ রিংকি, জেলা মৎস্যজীবী লীগের যুগ্ন আহবায়ক পবন সরকার, মাহফুজ জামান, শাকিল মাহমুদ, সদস্য বিদ্যুৎ কুমার দেব, রাফিউল ইসলাম সাগর, গোলাম আহাদ, সাবিরুল ইসলাম পান্না, জাহাঙ্গীর আলম জনি, উপজেলা মৎস্যজীবী লীগ নেতা আকবর আলী, আরাফাত, কুতুবুল আলম রুপক, দেলোয়ার মাহমুদ আলী, মিঠু, আবু তাহের, রাবু খান, আনিছার, শাহিন, সিয়াম, জামাল, শাহিন প্রমুখ।