সাজু মিয়া, শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি :
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কুড়িগ্রামের তাঁত কারখানার শ্রমিক রুবেল আহম্মেদকে মহাস্থান থেকে অপহরণের ৮দিন পর উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ওই শ্রমিককে উপজেলার মহাস্থান এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ^রী উপজেলার কাশিরভিটা গ্রামের মৃত আবু বক্কর ছিদ্দিক এর ছেলে রুবেল আহম্মেদ (২৭) বাড়ি থেকে ২২ আগস্ট সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলায় তাঁতের কারখানায় কর্মস্থলে যোগদান করার জন্য রওনা দেয়।
এদিকে নাগেশ^রী এলাকায় বিবাহ করেছিলেন শিবগঞ্জ উপজেলার মাঝিহট্ট ইউনিয়নের আলমগীর হোসেন নামের এক যুবক। সেই সূত্রে তার পরিচিত রুবেল কে ফোনে মোবাইলে বাস থেকে নামতে বলে।
ওই যুবকের কথা মত তার সঙ্গে দেখা করার জন্য শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান বাস স্ট্যান্ডে নামে। ওই যুবকের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর মহাস্থান মাজার এলাকা সহ মহাস্থান এলাকায় ঘুরে ঘুরে দেখানোর পর কৌশলে রুবেল কে সি.এন.জি যোগে মাঝিহট্ট ইউনিয়নের অজ্ঞাত একটি বাড়িতে নিয়ে যায়।
সে সময় অপহরণকারীরা তাকে মারপিট করে ৫ লক্ষাধিক টাকা মুক্তিপন হিসাবে দাবি করেন। টাকা দিতে না পারায় ওই এলাকার নদীর পারে একটি জঙ্গলে হাত পা বেঁধে রাখে। থানা পুলিশ খবর পেয়ে গত কয়েক দিন যাবৎ দফায় দফায় উদ্ধারের জন্য অভিযান চালায়।
অপহরণকারীর চক্রটি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রুবেলকে রেখে পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার রুবেলকে উপজেলার মহাস্থান এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
তাঁত শ্রমিক রুবেল থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম কে ঘটনার বিবরণ দিতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
তিনি বলেন, আমি না খেয়ে কয়েক দিন যাবৎ কাটিয়েছি। অপহরণকারীরা আমাকে মারপিট করেছে এবং আমার পরিবারের নিকট থেকে বিকাশে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে দিয়েছি। আল্লাহ আমাকে বেঁচে রেখেছে।
এব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, এঘটনায় থানায় অপহরণ মামলা নেওয়া হয়েছে। তাঁত শ্রমিককে জবানবন্দী দেওয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপহরণ চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারে পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।