শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি :
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় সুমাইয়া খাতুন নামে এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) সকাল ১০ টার দিকে নিজ ঘরের তীরের সঙ্গে গালায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সুমাইয়া খাতুন শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের শালফা গ্রামের মনছের ফকিরের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ বছর আগে সুমাইয়ার সঙ্গে শাহাদত হোসেন নামে এক যুবকের বিয়ে হয়। শাহাদত দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা। তার বাবার নাম আব্দুস সালাম।
শাহাদত বিয়ের পর থেকেই সুমাইয়ার বাড়িতে ঘরজামাই থেকে দিনমজুরের (রডমিস্ত্রি) কাজ করেন। বর্তমানে কাজের সুবাদে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন।
প্রতিবেশিরা জানান, মঙ্গলবার সকালে সুমাইয়ার মা বাড়ির বাহিরে সাংসারিক কাজ করছিলেন। কাজ শেষে বাড়ি ফিরে দেখতে পান সুমাইয়ার ঘরের দরজা বন্ধ। তখন তিনি অনেক ডাকাডাকি করেও কোন সাড়াশব্দ পাচ্ছিলেন না।
তখন সন্দেহ হলে ঘরের বাহিরের জানালা ফাঁক দিয়ে ভেতরে দেখার চেষ্টা করেন। ওই সময় তিনি দেখেন ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুঁলছেন সুমাইয়া।
এই অবস্থা দেখে তিনি চিৎকার করে আশপাশের মানুষদের ডাক দেন। পরে সবাই মিলে সুমাইয়াকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে বাবার বাড়িতে থাকার কারণে পারিবারিক কলহের জেরে সুমাইয়া আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা।
এব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে।