স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধানবার্তা :
বগুড়ায় সরকারি বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থায় চাকুরি দেওয়ার নামে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১২ এর একটি দল।
রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ওই দুই প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানাধীন স্বর্গপুর হাজীপাড়া এলাকার মুনছুর আলী মন্ডলের ছেলে মেহেরুল ইসলাম (৩৩) এবং রেলকলোনী তালোড়া বাজার এলাকার মনোয়ারুল হকের ছেলে কামরুল হাসান (২৯)।
র্যাব জানায়, বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া থানা এলাকার একটি প্রতারক চক্র সরকারি বাহিনী ও সংস্থায় সদস্য ভর্তি ও নিয়োগের নামে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে আনুমানিক ৮০ থেকে ৯০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রতারক চক্রটি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার কর্মকর্তা সেজে বিভিন্ন লোকের সাথে মোবাইলে কথা বলে এবং বাহিনী ও সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তার নামে প্রার্থীর মোবাইলে ভুয়া নিয়োগের এসএমএস পাঠায়। প্রতারক চক্রটি মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান টাকা সংগ্রহ করে।
এসব বিষয়ে একাধিক ভুক্তভোগী র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পে ওই প্রতারকের চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে রবিবার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১২, বগুড়া ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া থানা এলাকায় অভিযান চালায়। একপর্যায়ে ওই প্রতারক চক্রের মুল হোতা মেহেরুল ইসলাম ও কামরুল হাসানকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব।
এসময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৪টি ল্যাপটপ, ১৮টি মোবাইল, ১৫টি সিডি, ১টি পিসি, ৫৮টি সিমকার্ড, ৭টি পেনড্রাইভ ও ২টি হার্ডডিস্ক উদ্ধার করে র্যাব।
র্যাব-১২ এর অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি রফিকুল হাসান গনি এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামীরা বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থায় সদস্য পদে চাকুরী দেওয়ার নাম করে সহজ সরল মানুষদের সরলতার সুযোগ নিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা লেনদেন করে।
প্রতারক চক্রটি আরো স্বীকার করে যে, ভূয়া নিয়োগে এসএমএস পাঠানোর ক্ষেত্রে তারা অনলাইনের মাধ্যমে ভূক্তভোগীদেরকে কাছে প্রেরন করতো। এভাবে তারা প্রায় ৮০ থেকে ৯০ লক্ষ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে ভূক্তভোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়।
তিনি আরো জানান, এই প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে এলাকার অনেক জনসাধারণ নিঃস্ব হয়েছে। প্রতারিত ব্যক্তিরা তাদের টাকা চাইতে গেলে প্রতারক চক্র তাদেরকে দেখে নিবে বলে হুমকিও দিত।
প্রতারক চক্রটি চাকুরী দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নিয়ে সরকার ও বাহিনী ও সংস্থার সুনাম ক্ষুন্ন করেছে। এবিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান তিনি।