ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা :
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় রাতের আধাঁরে স্বপ্না খাতুন (৪০) নামে এক গৃহবধুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার (২ অক্টোবর) ভোর রাত ৪টার দিকে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পুলিশ ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেছে।
এঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই গৃহবধুর স্বামী বাহেছ আলীকে (৫০) আটক করেছে। সে ধুনট উপজেলার সদর ইউনিয়নের চালাপাড়া গ্রামের মৃত মোতরাজ আলীর ছেলে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, বাহেছ আলী পেশায় একজন চা বিক্রেতা। পেশার তাগিদে সে মাঝে মাঝেমধ্যে বাড়ির পাশের্^র চা দোকানে ঘুমায়।
শুক্রবার রাতে বাহেছ আলী তার দোকানে ঘুমায় এবং তার স্ত্রী স্বপ্না খাতুন ও তার এক মেয়ে বাড়িতেই ঘুমিয়ে ছিল। শনিবার ভোর রাত ৩টার দিকে বাহেছ আলী তার স্ত্রী স্বপ্ন খাতুনকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে দোকানে এসে পরোটা ভাজার জন্য আসতে বলে।
এরপর স্বপ্ন খাতুন স্বামীর কথামতো তার পিছু পিছু দোকানের দিকে যেতে থাকে। এর কিছুক্ষন পরেই বাহেছ আলীর চিৎকারে প্রতিবেশিরা সেখানে গিয়ে গৃহবধু স্বপ্নাকে পেটের ভূড়ি বের হওয়া অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে। তখন বাহের আলী চিৎকার করে বলতে থাকে, তার ছোট ভাই বেলাল তার স্ত্রীকে খুন করে পালিয়ে গেছে।
এরপর স্থানীয় লোকজন ও বাছের আলী গুরুতর অবস্থায় স্বপ্না খাতুনকে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর পুলিশ সংবাদ পেয়ে লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয় আমজাদ হোসেন ও চাঁন মিয়া জানায়, বাছের আলীর সঙ্গে তার ভাই বেলাল হোসেনের জমিজমা নিয়ে পূর্ব বিরোধ রয়েছে। হয়তো ভাইকে ফাঁসাতেই নিজের ঘুমন্ত স্ত্রীকে ডেকে এনে হত্যা করেছে সে। ইতিপূর্বেও নিজের ভাই বেলালকে জেলও খাটিয়েছিল বাছের।
তবে এব্যাপারে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানান, গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এঘটনায় সন্দেহ হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামীকে আটক করা হয়েছে। এব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।