ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :
ঠাকুরগাঁওয়ে স্ত্রীকে খুন করার পর থানায় হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেছে এক স্বামী।
বুধবার (৬ই অক্টোবর) ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল থানাধীন হোসেনগাঁও ইউনিয়নের নাড়াদিঘী গ্রামে এই খুনের ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই গৃহবধুর নাম রুখসানা বেগম (৫৫)। আর ঘাতক স্বামী স্বামী হবিবুর রহমান (৬০) রাণীশংকৈল থানাধীন হোসেনগাঁও ইউনিয়নের নাড়াদিঘী গ্রামের মৃত আছিরউদ্দীনের ছেলে।
পুলিশ ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয়সূত্রে জানাযায়, রুখসানা বেগম ও হবিবুর রহমান দম্পত্তির ৩ মেয়ে ২ ছেলে রয়েছে। ২ মেয়ের বিয়ে হয়। ১ মেয়ে দিনাজপুর হাজী দানেশ কলেজে অধ্যায়নরত। ২ ছেলে চাকরির সুবাধে ঢাকায় থাকেন।
বুধবার (৬ অক্টোবর) হবিবুর রহমান ফজরের নামাজের সময় স্ত্রী রুখসানাকে ঘুম থেকে জেগে তোলে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্বামী হবিবুর রহমান শাবল দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে। এতে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের ফলে রুখসানার মৃত্যু হয়।
এদিকে স্ত্রীকে খুনের প্রায় দেড় ঘন্টা পর থানায় গিয়ে হাজির হন স্বামী হবিবুর রহমান।
তিনি পুলিশকে বলেন, ‘আমার স্ত্রীকে হত্যা করেছি, আপনারা তাঁর লাশ উদ্ধার করেন।’ তখন পুলিশ তাঁকে আটক করে ঘটনাস্থলে নিয়ে যান। সেখানে একটি কক্ষে খাটের ওপর ওই গৃহবধূর রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায় পুলিশ। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এবিষয়ে রাণীশংকৈল অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম জাহিদ ইকবাল বলেন, নিহত গৃহবধূর স্বামী দাবি করেছেন, নামাজ পড়ার কথা বলা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তিনি মাথায় সাবল দিয়ে আঘাত করেন। এতেই গৃহবধূ রুখসানা মারা যায়। তদন্ত করে হত্যার প্রকৃত কারণ বের করা হবে। এঘটনায় থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।