শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি :
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ফসলী জমি থেকে মাটি কর্তন ও ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে লাভলু মিয়া নামে এক ব্যক্তি। ফলে আবাদি জমির টপ সয়েল ধ্বংসসহ উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে।
অবৈধভাবে ভূমি ধ্বংস ও বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করতে গেলে নানাভীতি ও হুমকী দিয়ে আসছে।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলন বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভূক্তভোগী এক জমির মালিক আতাউর রহমান।
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে উপজেলার খন্দকারটোলার মৃত মজিবর রহমানের ছেলে আতাউর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।
ভূক্তভোগী কৃষক আতাউর রহমান তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, শেরপুর উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের শুভগাছা গ্রামের মিরাজ উদ্দিনের ছেলে লাভলু মিয়া বালু ও মাটি ব্যবসায়ী। আমি একজন প্রান্তিক কৃষক হিসেবে ৪ বিঘা ফসলী জমিতে চাষাবাদ করে সংসার পরিচালনা করে আসছি। উপজেলার শুভগাছা মৌজায় ভোস্তা বিল এলাকায় আমার জমির পাশে লাভলু মিয়া তার ফসলী জমি থেকে অবৈধভাবে জমির মাটির টপসয়েল কেটে এবং সেস্থানে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে।
যাহার ফলে আমার ফসলী জমির মাটির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে এবং পাশের জমি ভেঙ্গে যাচ্ছে। এছাড়াও এলাকায় দাপট ও প্রভাব খাটিয়ে ওই ভূমিদস্যু গত কয়েক বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করছেন। অজ্ঞাত কারণে কেউ ওই ভূমি দস্যুর অবৈধ এ কাজের প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না।
সম্প্রতি আমার জমি ভেঙ্গে পড়ায় ও ক্ষতিসাধন হওয়ায় ওই ভূমিদস্যু লাভলু মিয়ার কাছে প্রতিবাদ করতে গেলে সে আমাকে নানাভাবে হুমকী-ধামকি দিয়ে আসছে।
এতে আমি জীবনের নিরাপত্তাহীনতাসহ আবাদী জমির ক্ষতিসাধন নিয়ে শংকায় রয়েছি। ওই ভূমিদস্যু লাভলু মিয়ার অরাজকতা ও অবৈধ প্রভাবে মাটি ও বালু উত্তোলন বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।