রাকিব মাহমুদ ডাবলু, গাবতলি (বগুড়া) থেকে:
বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে ৪ বছরের এক শিশু কন্যাকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত ২ কিশোরকে আটক করেছে।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) গাবতলী উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের লাঠিমারঘোন গ্রামে এঘটনা ঘটে।
পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেছে।
এঘটনায় আটককৃতরা হলো- বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের লাঠিমারঘোন গ্রামের সাজুর প্রামানিকের ছেলে শুভ (১৪) ও উজ্জ্বল প্রামানিকের ছেলে রিয়াদ (১৫)।
থানা পুলিশ ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার সকালে নেপালতলী ইউনিয়নের লাঠিমারঘোন গ্রামের সাহীন প্রামানিকের শিশু কন্যা সানজিদা (৪) খেলা অবস্থায় বাড়ীর উঠান থেকে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকেই তার বাবা ও মা শিশু কন্যা সানজিদা খাতুন কে খুঁজতে থাকে।
একপর্যায়ে অজ্ঞাত স্থান থেকে মোবাইলে সানজিদার বাবার কাছে ফোন আসে এবং ৩ লাখ টাকার মুক্তিপণের দাবী করে। টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলা হবে। কিন্তু তাদেরকে এত টাকা দিতে অস্বীকার করে।
পরবর্তীতে তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকার মুক্তিপণ দাবী করা হয়। এতে নিরুপায় হয়ে সাহীন প্রামানিক তার শিশু কন্যা সানজিদাকে বাঁচাতে টাকা দিতে স্বীকার করে এবং কোথায় দিতে হবে জানতে চায়।
এ সময় অপহরণকারীরা স্থানীয় একটি ব্রীজের নিচে রেখে যেতে বলেন। তাদের কথা মতে বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উক্ত টাকা ব্রীজের নিচে রেখে যান এবং বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন।
সংবাদ পেয়ে তদন্ত ওসি জামিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ কৌশল অবলম্বন করে অপেক্ষা করতে থাকে। এসময় অপহরণকারীরা টাকা নিতে গেলে জনতার সহযোগিতায় তাদের ঘিরে ফেলে এবং রিয়াদ (১৫) নামের এক কিশোরকে আটক করে।
পরবর্তীতে আটককৃত রিয়াদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক অপহরণকারীর আরেক সদস্য শুভর বাড়ি থেকে বস্তাবন্দী ও হাতা, পা বাধা এবং মুখে টেপ মারা অবস্থায় শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম বলেন, এঘটনায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।