শাহারুল ইসলাম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীতে আদালতের আদেশ অমান্য করে জমিতে অবকাঠামো নির্মাণের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে এব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে পলাশবাড়ী প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ভূক্তভোগী আঃ গোফ্ফার মন্ডল।
সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের হাসনেরপাড়া মৌজার সি.এস খতিয়ান- ৩৬ ও ৩৮, আর.এস খতিয়ান- ৪৩ ও ৪৫, সাবেক দাগ- ৪০, ৭৫০ ও ৭৫১ জমিটি আমার নামে কবলাকৃত।
যাহা আমি ২৪/০৮/২০০৬ তারিখে ৩৭৬২নং কবলা দলিল মূলে একই মৌজার নুরজাহান বেগম, স্বামী- গোলাম মোহাম্মদ এর নিকট থেকে ৩৪ শতক জমি ক্রয় করি ও আমার ছেলে আবু তোফায়েল জিল্লুর রহমান ৩০/১২/২০১২ তারিখে ৬৪৮২নং দলিলমূলে ছাইদুর রহমান গং এর নিকট থেকে ১৮ শতক জমি ক্রয় করে আমরা উভয়েই ভোগদখল করিয়া আসিতেছি।
বর্তমানে ফারুক সরকার, নুরুন্নবী সরকার, গোলাম মোস্তফা গং উক্ত জমিটি তাদের ক্রয়কৃত জমি দাবী করে ১৪ নভেম্বর এবং এর আগেও জোরপূর্বক পেশি শক্তির জোরে আমার ক্রয়কৃত ও ভোগদখলকৃত জমি দখল করে নিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের চেষ্টা করছেন।
ফলে আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আইন শঙ্খলার অবনতি না ঘটিয়ে আদালতের আশ্রয় গ্রহণ করি। আদালত আমার নিকট উক্ত জমির সমস্ত কাগজপত্র পর্যালোচনা করিয়া উক্ত জমিতে ১৪৪ ধারার আদেশ জারি করেন।
১ম বার ৩১ জানুয়ারী, ২য় বার ০৮ ফেব্রুয়ারী, ও ৩য় বার ১৭ নভেম্বর, আদালত উক্ত জমিটিতে স্থিতিবস্থা জারী করেন।
কিন্তু ফারুক গং আদালতের আদেশ অমান্য করিয়া উক্ত জমিতে টিনের প্রাচীর ও ইটের প্রাচীর নির্মাণ করে। বর্তমানে বিবাদীগণ উক্ত জমিতে প্রাচীর দিয়ে দখল নিয়ে বাড়ী ঘরের অবকাঠামো তৈরি করছেন।
যেকোন সময় বিবাদীগণ উক্ত জমিতে বাড়ী ঘর নির্মাণ করতে পারে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আদালতের আদেশপত্রসহ পলাশবাড়ী থানায় অভিযোগ দাখিল করেছি।
এর মধ্যে সুযোগ সন্ধানী ফারুকসহ বিবাদীগণ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করিতেছে। আমি একজন অসহায় ব্যক্তি হয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য ন্যায় বিচার দাবী করছি।