ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা :
দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে বগুড়ার ধুনটে আখেরী মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে তিনদিনের আঞ্চলিক বিশ্ব ইজতেমা।
ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের নিভৃত পল্লী সরুগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের মাঠে ও ফসলী জমিতে ঢাকার কাকরাইল মসজিদের তত্বাবধায়নে ৪৭তম এই বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে ইজতেমায় আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন ঢাকার কাকরাইল মসজিদের মুরব্বী হযরত মাওলানা আব্দুল্লাহ্ হক সাহেব।
প্রায় ২০ মিনিটের মোনাজাতের সময় হাজারো মুসল্লির কান্না ও আমিন, আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয় ইজতেমা প্রাঙ্গন।
দীর্ঘ মোনাজাতে আল্লাহর দরবারে গুনাহ্ মাফ ও নানাভাবে মৃত্যুবরণকারীদের রুহের আত্মার মাগফিরাত কামনা সহ দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।
আখেরী মোনাজাতের পূর্বে ইজতেমায় হেদায়েতের বয়ান পেশ করেন মুরব্বী হযরত মাওলানা আব্দুল্লাহ্ হক সাহেব। বয়ানে তিনি, মুসল্লিগণকে আল্লাহ্ ও নবী রসূলের দেখানো চলতে পথে চলতে এবং দ্বীন ও ইসলামের পথে চলে দুনিয়াতেই আখিরাতের ছামানা গোছানোর আহবান জানান।
এরআগে শনিবার বাদ ফজর হেদায়েতের বয়ান পেশ করেন ঢাকার কাকরাইল মসজিদের মুরব্বী হযরত মাওলানা মুফতি নিজাম উদ্দিন।
গত বৃহস্পতিবার বাদ ফজর বগুড়া মার্কাস মসজিদের মুরব্বী আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ সাহেবের উদ্বোধনী বয়ানের মধ্যদিয়ে এই ইজতেমা শুরু হয়। এই ইজতেমা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ব ইজতেমার পরিচিতি রয়েছে।
ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য আলহাজ্ব হুমায়ুন কবির জানান, ঢাকার টঙ্গির বিশ্ব ইজতেমা সফল করার লক্ষে প্রতিবছর ধুনটের সরুগ্রামে যুগ যুগ ধরে এই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
তবে ইতেমায় প্রতিবছর বিশ্বের ১০/১৫টি দেশ থেকে বিদেশী মুসল্লিগণ আসলেও করোনাকালীন সময় হওয়ায় এবছর শুধু সৌদি আরবের মক্কা এবং আফ্রিকার নাইজেরিয়া দেশ থেকে মুসল্লিগণ জামাত বন্দি হয়ে এসেছিলেন।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে হাজারো মুসল্লিগণ জামাত বন্দি হয়ে ইজতেমায় সমাবেত হন। ৪৭তম এই ইজতেমা প্রাঙ্গনে মুসল্লিগণ তিনদিন অবস্থান নিয়ে বাদ ফজর, যোহর, আসর ও মাগরিবের পর হেদায়েতের বয়ান শোনেন।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানান, ইজতেমা প্রাঙ্গনে পুলিশ কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছিল। এছাড়া পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও নিয়োজিত ছিল।