সেলিম মোর্শেদ রানা, পাবনা প্রতিনিধি: অনুসন্ধানবার্তা
পাবনায় দুই চালককে হত্যার পর ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনার রহস্য উন্মোচন করে ১২টি চোরাই ইজিবাইকসহ চোর চক্রের মূল হোতা সুমনসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাবনা সদর থানার সামনে প্রেস বিফিং বিস্তারিত জানান পাবনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম।
জানাগেছে, ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের সামনের পুকুর থেকে অটো ইজি বাইক চালক জাহাঙ্গীর এবং ২৪ ডিসেম্বর পাবনা মনোহরপুর মসজিদের সামনে পাকা রাস্তার পাশে থেকে অটো ইজি বাইক চালক রইচ উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এঘটনায় পাবনা সদর থানায় পৃথক ২টি হত্যা মামলা দায়ের হলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মাসুদ আলমের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রোকনউজ্জামান সরকার ও এসআই অসিত কুমার বসাক, গোয়েন্দা শাখার এসআই রাসেল কবির সহ পাবনা সদর থানার একটি দল বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন। একপর্যায়ে ঈশ^রদী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের মূল হোতা সুমনকে গ্রেফতার করেন।
পরে তার দেওয়া তথ্যমতে পাবনা, কুষ্টিয়া, সিরাজগঞ্জ ও নাটোর জেলায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের পর ছিনতাই হওয়ায় ২টি ইজিবাইকসহ মোট ১২টি ইজিবাইক, চোরাই কাজে ব্যবহত ৭টি মোবাইল ও নগদ ৩৪ হাজার টাকা আরো ৬জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো- কুষ্টিয়া জেলা সদরের হেলালপুর গ্রামের দুলাল সেখের ছেলে সুমন সেখ (৩০), পাবনা জেলার আটঘরিয়া থানাধীন অভিরামপুর গ্রামের মৃত তারো প্রামানিকের ছেলে বাচ্চু মিয়া (৪৫), দেবত্তর আটঘরিয়া এলাকার মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে বজলুর রহমান (২৪), আটঘরিয়া থানাধীন অভিরামপুর গ্রামের মৃত জলিল প্রামানিকের ছেলে হাসান আলী (২৫), নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম এলাকার খোয়াজ মোল্লার ছেলে শামীম মিয়া (২৫), চক বড়াইগ্রাম এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে রফিকুল ইসলাম (২৬), বাজিতপুর বড়াইগ্রাম এলাকার মৃত আব্দুল খোয়াজের ছেলে রফিকুল ইসলাম (২৪)।