ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা :
বগুড়ার ধুনট পৌরসভার নির্মাণাধীন ড্রেন যেন এখন মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। সোমবার সেই মরণফাঁদে একটি ট্রাক আটকে পড়ে চালক ও হেলপার আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়াও তো প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় অনেক দূর্ঘটনা। তবে উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য রাস্তার পাশে খোঁড়াখুঁড়ি করে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না করেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান উধাও হয়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় ধুনট পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের অফিসারপাড়া এলাকার প্রভাষক আমজাদ হোসেনের বাড়ি থেকে হলহলিয়া নদী পর্যন্ত ৩০০ মিটার ড্রেন নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া হয় ৪৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। দরপত্র আহবানের মাধ্যমে ২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি বগুড়ার রুনা এন্টারপ্রাইজকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ওই প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা ছিল ২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যে।
কিন্তু ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ধুনট পৌরসভার জনগুরুত্বপূর্ণ টিএনটি মোড় এলাকার পাকা রাস্তার একপাশে ড্রেন নির্মাণের জন্য খোঁড়াখুড়ি করে মাত্র ৩০ শতাংশ কাজ করেই উধাও হয়ে গেছে। একারনে গত ২ বছর ধরে জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াতে প্রতিদিন লাখো মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ধুনট পৌর এলাকার টিএনটি মোড় এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আমজাদ হোসেন ও রানা আহমেদ জানান, গত দুই বছর ধরে জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার এক পাশ দিয়ে ড্রেন নির্মানের জন্য খোঁড়াখুড়ি করে রেখেছে। কিন্তু সমান্য কিছু কাজ করেই ঠিকাদার উধাও হয়ে গেছে।
একারনে নির্মাণাধীন ড্রেনের লোহার রডগুলো এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। একারনে মাঝে মাঝে মধ্যেই ঘটছে ছোট-বড় অনেক দূর্ঘটনা। সোমবার (৭ মার্চ) ভোর রাত ৪টার দিকে একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রা-ট ২০-৩৬৮৫) ধুনট জিরোপয়েন্ট রোডে যাওয়ার পথে এই নির্মাণাধীন ড্রেনের খাদে পড়ে যায়। এতে চালক ও হেলপার আহত হয়।
ধুনট সোনাহাটা সড়কের সিএনজি চালক লিটন মিয়া বলেন, ড্রেনের জন্য খুঁড়ে রাখলেও কোন কাজ না করায় এই রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। যদি কোন কারনে যানবাহন উল্টে যায়, তাহলে মৃত্যু নিশ্চিত। তাই স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষে জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় জনদূর্ভোগ সৃষ্টি করায় ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
তবে এবিষয়ে জানতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রুনা এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার নজরুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাসের কারনে ড্রেন নির্মান কাজ সম্পন্ন করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।
এবিষয়ে ধুনট পৌরসভার মেয়র এজিএ বাদশাহ বলেন, ওই ঠিকাদারকে একাধিকবার নোটিশ করা হলেও তিনি নির্মান কাজ শেষ করতে পারেনি। এবিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।