শাহারুল ইসলাম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি: অনুসন্ধানবার্তা
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোমরপুর হাটে অটবি ফার্নিচারের দোকানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশু শ্রমিক রায়হান (১২) নামে এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনা রফদফার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই ঘটনায় মামলা না করার জন্য ফার্নিচার মালিক আব্দুস সালাম নিহত রায়হানের পরিবারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আড়াই লাখ টাকা রফাদফা করেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
তবে ওইদিন নিহতের পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা নগদ এবং ২ লাখ টাকা ১৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে মিমাংসা করা হয়। এ নিয়ে এলাকার সচেতন মহলের মাঝে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, অটবি ফার্নিচার মালিক আব্দুস সালাম লোক মাধ্যমে নিহতের পরিবারের কাছে মিমাংসার প্রস্তাব দিলে তারা তার প্রস্তাবে রাজি হয়। এরপর তারা মামলা মোকদ্দমায় না গিয়ে আপোষ মিমাংসা করে।
এ ব্যাপারে ফার্নিচার মালিক আব্দুস সালামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নিহত রায়হানের পরিবারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে মিমাংসা হয়েছে। তবে কত টাকায় মিমাংসা হয়েছে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এত গভীরে যাইয়েন না। থানায় কথা হয়েছে পুলিশের সাথে। তবে পুলিশ বলছেন, যদি পরিবারের সাথে মিমাংসা করতে পারেন, তাহলে আমাদের কোন আপত্তি নেই! তবে আপনাদের (সাংবাদিকদের) বিষয়টি দেখা হবে। এ বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করা হলে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে এবিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি ইজার উদ্দিন বলেন, নিহতের পরিবার কিভাবে মিমাংসা করেছে তা আমাদের জানার বিষয় নয়। কেউ মিমাংসা করলে আমাদের কিছু করার নেই। এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা কোমরপুর বাজারে অটবি ফার্নিচারের দোকানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রায়হান নামে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র নিহত হয়। নিহত রায়হান ওই অটবি ফার্নিচারে শ্রমিকের কাজ করত। সে পাশবর্তী পলাশবাড়ী উপজেলার মধ্যরামচন্দ্রপুর গ্রামের তৌহিদুল ইসলামের ছেলে।