ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা :
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ঝলকি বেগম (৪০) নামে এক নারী গার্মেন্টস কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার রাতে গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম গুয়াডহুরি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ঝলকি বেগম ওই গ্রামের মোহনের স্ত্রী। এঘটনায় ধুনট থানা পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে যুবদল নেতাসহ দুই জনকে আটক করেছে।
আটককৃতরা হলো- গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিমগুয়াডহুরি গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ প্রামানিকের ছেলে গোসাইবাড়ী ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক রুহুল আমিন রতন (৪৫) ও আজাহার আলীর ছেলে লিটন (৪০)।
পুলিশ ও স্থানীয়সূত্রে জানাযায়, গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিমগুয়াডহুরি গ্রামের মোহনের স্ত্রী ঝলকি বেগম ঢাকার একটি গার্মেন্টস কোম্পানীতে চাকরি করতো। তার স্বামী মোহন একাই গ্রামে থেকে শ্রমিকের কাজ করে। দুই দিন আগে ঈদের ছুটিতে ঝলকি বেগম বাড়িতে আসে।
এদিকে স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় কিছু দিন আগে মোহন পাশর্^বর্ত্তী এক মহিলার ঘরে গিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরা পড়ে। এঘটনায় ওই মহিলা স্থানীয় মাতব্বর রুহুল আমিন রতনের কাছে বিচার প্রার্থী হয়। গত শনিবার রুহুল আমিন রতন স্থানীয় লোকজনদের নিয়ে বৈঠকে মোহনকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে এবং সমাজচ্যুত করার ঘোষণা দেয়।
এতে মোহন ক্ষিপ্ত হয়ে রবিবার রাত ৯টার দিকে তার লোকজন নিয়ে মাতব্বর রুহুল আমিন রতনের ওপর হামলা চালিয়ে তার পেটে ছুরিকাঘাত করে। এদিকে এই সংবাদ পেয়ে রুহুল আমিন রতনের লোকজন মোহনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে পেটাতে থাকে। এসময় মোহনের স্ত্রী ঝলকি বেগম সামনে আসলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষরা। পরে তাকে মূমূর্ষ অবস্থায় বগুড়ার হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তবে এই পাল্টা-পাল্টি হামলায় মোহন সহ উভয়পক্ষের ৭জন আহত হয়েছে।
এব্যাপারে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, এক নারী গার্মেন্টস কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই জনকে আটক করা হয়েছে। এঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।