ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা :
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ধীর গতিতে সড়ক নির্মান করায় ভোগান্তি আরো চরমে উঠেছে। সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড়-বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। একারনে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দিয়ে যাতায়াতে লাখো মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
জানাগছে, বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার দেশের দক্ষিনাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়ার ধুনট-শেরপুর বাইপাস সড়ক নির্মান করছে। ধুনট-শেরপুর সড়কের নির্মান কাজের দায়িত্ব পেয়েছেন খুলনার বাগেরহাট জেলার মোজাহার আলী এন্টারপ্রাইজ নামে এক ঠিকারদার প্রতিষ্ঠান। প্রায় এক বছর আগে কার্যাদেশ পাওয়া এই ঠিকারদার প্রতিষ্ঠানটির কাজ চলছে খুবই ধীর গতিতে।
স্থানীয় লোকজন জানান, গত কয়েক বছর আগেই কাজিপুরের সোনামুখি থেকে ধুনট ও শেরপুর সড়কের সম্পূর্ণ কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানা-খন্দে পরিনত হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ বছর ধরে সিরাজগঞ্জ এবং বগুড়ার সড়ক ও জনপথ বিভাগ এই সড়কটি এখনও চলাচলের উপযোগি করতে পারেনি। তবে সড়ক বর্ধিতকরণের অজুহাতে দীর্ঘ বছর ধরে সড়কটি এই অবস্থায় ফেলে রেখেছে ঠিকারদার প্রতিষ্ঠানটি। একারনে জনগুরুত্বপূর্ণ এই বাইপাস সড়কটি দিয়ে দেশের দক্ষিনাঞ্চল ও উত্তরালঞ্চসহ স্থানীয় লাখো মানুষের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে স্থানীয় লোকজনের মৌখিক অভিযোগের পর সরেজমিন গিয়েও ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাজের কোন অগ্রতি চোখে পড়েনি। সড়কটি বর্ধিতকরণের জন্য দুই পাশ খোড়াখুড়ি করলেও জনবল ছিল না এই প্রতিষ্ঠানটির।
ধুনট-সোনামুখি সড়কের ভ্যান চালক জহুরুল ইসলাম বলেন, ভ্যান চালিয়ে যে টাকা রোজগার করি, সড়কের গর্তে পড়ে মাঝে মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে সেই টাকা দিয়ে আবার ভ্যান মেরামত করতেই চলে যায়। কোন কোন সময় গর্তে পড়ে গিয়ে অনেক ছাত্র-ছাত্রী আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
ধুনট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী সুমি জানায়, দিঘলকান্দি থেকে ধুনট পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়কে চলাচল করতে ১ ঘন্টারও বেশি সময় লাগে।
এব্যাপারে বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনের এমপি হাবিবর রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী কোরবান আলী মিলন বলেন, জানতে পেরেছি সড়কটি বর্ধিতকরণের জন্য জমি অধিগ্রহন করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তারপরও অতিদ্রুত সড়কটি নির্মানের জন্য সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ার সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।