ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা:
নিছক ঘুরে বেড়ানো নয়, প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে একটু প্রশান্তির জন্য লোকজন ছুটছে যমুনার তীরে। দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় বগুড়াতেও চলছে তীব্র দাবদাহ। তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তারও বেশি। বৈদ্যুতিত পাখাতেও যেন মিলছে না স্বস্তি। গাছের পাতাও যেন নড়ে না। তারপরও তো আছে লোডশেডিং এর দৌরাত্ম্য।
সরেজমিন দেখা যায়, বগুড়া জেলার যমুনা নদীর তীরবর্তী সারিয়াকান্দীর কালিতলা ঘাট, ধুনটের শহড়াবাড়ী ঘাটসহ শিমুলবাড়ী স্পারে লোকজনের ভীড় বেড়েছে। বিকেল হতেই দুর-দুরান্ত থেকে আগত এবং স্থানীয় লোকজনের পদচারনায় যেন এক মিলন মেলায় পরিনত হয় যমুনা নদীর পাড়। রাত নয়টা-দশটা পর্যন্ত যমুনাপাড় যেন লোকজনের সমাগমে মুখরিত থাকে।
ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নে যমুনা নদীর বানিয়জান স্পারে গিয়ে দেখা যায়, কেউবা পরিবার পরিজন নিয়ে, কেউবা বন্ধু-বান্ধবী ও আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে ছুটে এসেছে। নদীর শীতল বাতাসে শরীর জিরিয়ে নিয়ে আবার চলে যাচ্ছে। কেউবা দল বেধে গান গাচ্ছে, কেউবা জন্মদিন পালন করছে, কেউবা বেড়াতে এসে যমুনায় গোসল করতে নেমেছে।
যমুনার তীরে কথা হয়, শেরপুর উপজেলার সোহাগ মিয়া নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। তিনি তার গানের দলবল নিয়ে ছুটে এসেছেন ধুনটের যমুনা নদীর বানিয়াজান স্পারে। সঙ্গে গিটার, ডুগী, একতারা ও সারিন্দা নিয়ে যমুনার তীরে গানের আসর বসিয়েছেন।
সোহাগ মিয়া জানান, প্রচন্ড গরমে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূর থেকে যমুনার তীরে বেড়াতে এসেছেন। শীতল বাতাসে গানের আড্ডায় রাত ৯টা পর্যন্ত সময় কাটান তারা।
তবে যমুনার তীরে শুধু ঘুরতেই নয়, ধুনটের এলাঙ্গী গ্রামের স্কুল ছাত্র সম্রাট হাসান বন্ধুদের নিয়ে এসেছিলো জন্মদিন পালন করতে। সম্রাট হাসান জানায়, প্রচন্ড গরমে একটু স্বস্তির নিশ্বাস নিতেই বন্ধুদের নিয়ে জন্মদিন পালন করতেই যমুনায় এসেছে।
শহড়াবাড়ী যমুনা নদীর তীরে কথা হয়, সাংবাদিক জিয়া শাহীনের সঙ্গে। তার বাড়ী পাশ^বর্ত্তী চিথুলিয়া গ্রামে। তিনি পেশাগত কারনে বগুড়া শহরেই বসবাস করেন। প্রচন্ড গরমে তিনিও পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন যমুনার তীরে।
সাংবাদিক জিয়া শাহীন বলেন, প্রচন্ড গরমে পরিবার পরিজন নিয়ে যমুনার পাড়ে বসে আছি। পাশেই গ্রামের বাড়ী। তাই সময় পেলেই সামান্য প্রশান্তির জন্য যমুনার তীরে ছুটে আসি।