নিজস্ব প্রতিবেদক, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে শেরপুর উপজেলার ভোট কেন্দ্র থেকে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থীর স্বামীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের হয়েছে।
এদিকে মামলা দায়েরের পর সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে অপহৃত প্রার্থীর স্বামী হালিম মল্লিককে (৩৮) উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এই মামলায় অপহরণকারী ফেরদৌস জামান মুকুল (৪৩), প্রভাষক আল-আমিন (৩৫), এনামুল হক (৩২), আব্দুস সাত্তার (৩০) সহ অজ্ঞাত আরো দুইজনকে আটক করা হয়।
থানাসূত্রে জানা যায়, বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে শেরপুর-ধুনট-শাজাহানপুর ৩নং ওয়ার্ডের নির্বাচনী এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন মিসেস সুইটি মল্লিক (মাইক)।
তার স্বামী হালিম মল্লিক গত ১৭ই অক্টোবর সোমবা বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করাকালে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শেরপুর শহীদিয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসার কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
এসময় ধুনট মোড় এলাকা থেকে হালিম মল্লিককে মোটরসাইকেলে তুলে অপহরণ করে শেরপুর পৌরসভার উলিপুর এলাকার একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে আটকে রাখে।
আরো পড়ুন- শিবগঞ্জে শেখ রাসেল দিবস পালিত
পরে মারপিটের ভয়ভীতি দেখিয়ে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। তখন ওই সময় টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে মারপিট ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়।
পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে অপহৃত হালিম মল্লিক ঘটনাটি জানালে তাকে দ্রুত উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতার করে শেরপুর থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই হালিম মল্লিক বাদি হয়ে শেরপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
এবিষয়ে হালিম মল্লিক বলেন, ভোট গ্রহণ চলাকালে আমাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে মারপিটের ভয় দেখিয়ে আমার কাছে থেকে এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে শেরপুর থানা পুলিশ আমাকে উদ্ধার করেন। আমি পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছি।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, হালিম মল্লিককে ভোট কেন্দ্র থেকে তুলে নিয়ে গেলে আমরা ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পাই। পরে তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে অপহৃত হালিম মল্লিককে উদ্ধার ও ৬ জন আসামীকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।