ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার ধুনটে ককটেল ফাঁটিয়ে নাশকতার অভিযোগে বিএনপি ও যুবদলের ২ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া একই অভিযোগে ধুনট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম মামুন সহ বিএনপি-যুবদল ও ছাত্রদলের ৪৬ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
এই মামলায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- ধুনট উপজেলার অলোয়া গ্রামের মৃত সোলায়মান আলীর ছেলে মথরাপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক রেজাউল করিম (৪৪) ও নলডাঙ্গা গ্রামের সোলায়মান হোসেনের ছেলে উপজেলা যুবদলের আহবায়ক উজ্বল হোসেন (৪০)।
ধুনট থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আসাদুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে ধুনট-শেরপুর সড়কের উল্লাপাড়া পাকা রাস্তার উপর অনেক লোকজন লাঠিশোডা হাতে নিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনায়। এই সংবাদ পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও অন্যরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এসময় সেখান থেকে অবিস্ফারিত দুটি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, এঘটনায় এসআই রুহুল আমিন খান বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামী সহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের ধুনট থানা হাজত থেকে বগুড়ার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন- বগুড়ায় পৃথক দুটি হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এদিকে এই মামলায় ধুনট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম, সদস্য হায়দার আলী হিন্দোল, সাবেক পৌর মেয়র আলিমুদ্দিন হারুন মন্ডল, সাবেক পৌর প্রশাসক আকতার আলম সেলিম ও আবুল মনছুর পাশা সহ উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন বিএনপি ও যুবদল, ছাত্রদল সহ ৪৬ জন নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে।
তবে এবিষয়ে ধুনট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম বলেন, আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে এবং ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ রয়েছে। তাই বিএনপির সমাবেশকে বানচাল করতে সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের হয়রানী করছে। কিন্তু তারপরও বিএনপির নেতাকর্মীরা জনসমুদ্রের মতো সমাবেশে অংশ নিবেন।
এবিষয়ে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, নাশকতা সৃষ্টির দায়ে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।