নিজস্ব প্রতিবেদক, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ায় পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ও কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বিএনপিসহ তার সহযোগী সংগঠনের ৫২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিষ্ফোরক আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।
তবে পুলিশের দাবি, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করায় পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সদর পুলিশ ফাঁড়ির দু’জন ও পুলিশ লাইন্সের দু’জন সদস্য রয়েছেন। তাদেরকে সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এঘটনায় বগুড়া সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওসমান গনি বাদী হয়ে বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল আলম মামুন, গাবতলী থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদত হোসেন সাগর, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক মাজেদুর রহমান জুয়েল, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেল, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খাদেমুল ইসলাম খাদেম, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যানসহ ৫২ জনের নামে মামলাটি দায়ের করেন।
আরো পড়ুন- ধুনটে পানিতে পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
বগুড়া সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) বাবু কুমার সাহা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা লাঠিশোডা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করার জন্য নবাববাড়ি সড়কে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। সন্ধ্যা ৬ টার দিকে পুলিশ সেখানে যাওয়ার সময় বগুড়া আইন কলেজের সামনে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করেন।
ককটেল বিস্ফোরণের পরপর তারা ইটপাটকেল ও পাথর নিক্ষেপ শুরু করেন। তাদের নিক্ষিপ্ত ইটের আঘাতে চার পুলিশ সদস্য আহত হন। অতিরিক্ত পুলিশ সেখানে গিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেন।
এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি অবিস্ফোরিত ককটেল, বেশ কিছু ইট ও পাথরের টুকরা, ১৫টি লাঠি ও ১০টি লোহার রড উদ্ধার করে।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক বাবু কুমার সাহা আরো বলেন, পুলিশের কাছে বাধা দেওয়া ও বিষ্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তবে বিষয়ে মামলায় অভিযুক্ত জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দীকী রিগ্যান জানান, গণসামাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য তিন দিন যাবত আমি ঢাকায় অবস্থান করছি। গতকালের কর্মসূচীতে আমি উপস্থিত ছিলাম না। কোন ফুটেজ কেউ দেখাতে পারবেনা। এটা একটা হাস্যকর, ভৌতিক ও মিথ্যা মামলা বলে দাবি করেন তিনি।