মাহফুজুর রহমান রিভু, জয়পুরহাট প্রতিনিধি: অনুসন্ধানবার্তা
জামায়াতের কেন্দ্রীয় ১০ দফা দাবির কর্মসূচির অংশ হিসেবে জয়পুরহাটের বামনপুর সগুনা এলাকায় মিছিল করার সময় পুলিশকে লক্ষ করে ককটেল নিক্ষেপ করে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এসময় পুলিশ ৬ রাউন্ড ফাঁকাগুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে জয়পুরহাট জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি আসাদুল ইসলাম আসাদ ও সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদসহ জামায়াত-শিবিরের ১২ নেতা কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৬টি ককটেল, রড, লাঠিসোঠা, ৬টি মোটর সাইকেল, ৬টি সাইকেল ও কর্মসূচির ব্যানার উদ্ধার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সদর উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর শাহ আলম দেওয়ান (৪৫), জামায়াত নেতা নাহিদুল ইসলাম (৩০), জামায়াত কর্মী শহিদুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি আসাদুল ইসলাম আসাদ, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ, শিবির কর্মী মারুফ, মেহেদী হাসান, মেশকাত শরীফ ও সোহরাব আলী মেসি ড্রাইভার শিপন ও নুর নবী।
আহত তিনি পুলিশ সদস্যরা হলেন, জয়পুরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আমিরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম ও এএসআই মাহমুদ। আহতদের আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এঘটনায় জয়পুরহাট জেলা জামায়াতের আমীর ফজলুর রহমান সাঈদ ও পাঁচবিবি উপজেলা উপজেলা জামায়াতের সভাপতি ইমরান হোসেনসহ অজ্ঞাত ৬০/৭০ জন নেতাকর্মী পলাতক রয়েছে।
জয়পুরহাট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম জানান, শনিবার ভোরে জামায়াত-শিবিরের শতাধিক নেতাকর্মীরা মিছিল করছিল। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তারা ককটেল নিক্ষেপ করে। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এসময় জামায়াত-শিবিরের ১২ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।