স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার ধুনটে জমি দলিল রেজিস্ট্রি করতে গিয়ে ধুনট সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের ভিতর থেকে মোজাম প্রামানিক নামে এক ব্যক্তির ১ লাখ টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্থ ওই ব্যক্তি উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের বেড়েরবাড়ি ডাক্তারপাড়া এলাকার মরহুম মজিতুল্লাহ প্রামাানিকের ছেলে।
এঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) তিনি ধুনট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে ধুনট থানা ভবনের সামনেই ধুনট সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের ভিতর সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজে টাকা চুরির দৃশ্য দেখা গেলেও এখনও চোর সনাক্ত বা আটক করা সম্ভব হয়নি।
অভিযোগ ও স্থানীয়সূত্রে জানাগেছে, বুধবার (১৮ জানুয়ায়ি) সকাল ১০ টার দিকে কৃষক মোজাম প্রামানিক ৫০ হাজার টাকার দুটি বান্ডিলসহ মোট ১ লাখ টাকা নিজ শার্টের পকেটে নিয়ে ধুনট সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে জমি দলিল রেজিস্ট্রি করতে যান। দুপুর ১২টার দিকে অফিস ভবনের ভিতর অজ্ঞাত ব্যক্তি তার শার্টের পকেট থেকে টাকা তুলে নিয়ে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই পকেটের ওজন কম মনে হওয়ায় পকেটে হাত দেন তিনি।
এসময় পকেটে টাকা দেখতে না পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করলে স্থানীয় লোকজন ঘটনাটি জানতে পারেন। পরবর্তীতে অফিসের ভিতরে থাকা সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, এক ব্যক্তি তার পকেট থেকে টাকা তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে। কিন্তু ওই ব্যক্তির মুখ মন্ডল স্পষ্ট বুঝতে না পারায় প্রাথমিকভাবে তাকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মোজাম প্রামানিকের ছেলে বাচ্চু প্রামানিক জানান, প্রবাসী আব্দুল মান্নানের ভাতিজার নিকট থেকে জমি দলিল রেজিষ্ট্রি করার জন্য ৫০ হাজার টাকার দুটি বান্ডিলসহ মোট ১ লাখ টাকা নিয়ে তার বাবা ধুনট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যান এবং দলিল লেখকের মাধ্যমে দলিল জমা দিলে জমিদাতা নাবালক (১৮ বছরের নিচে) হওয়ায় সাব-রেজিস্ট্রার দেব দ্যুতি রায় জমি রেজিষ্ট্রি করেননি।
এই সুযোগে অফিসের ভিতরের ওঁত পেতে থাকা চক্রটি তার বাবার পকেট থেকে ৫০ হাজার টাকার দুইটি বান্ডিলসহ মোট ১ লাখ টাকা তুলে নিয়ে যায়। তবে ধুনট থানা ভবনের সামনেই ধুনট সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে টাকা চুরির ঘটনাটি ঘটলেও এখনও চোর সনাক্ত বা আটক করা সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে ধুনট সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের প্রধান অফিস সহকারী উদয় কুমার বলেন, অফিস প্রাঙ্গনে চুরির ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা ভিডিও ফুটেজটি দেখেছি। পুলিশ ভিডিও ফুটেজটি চাইলে আমরা তাদেরকে সরবরাহ করব।
এ বিষয়ে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, কৃষকের টাকা চুরির বিষয়টি আমলে নিয়ে সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ দেখে চোর সনাক্তের চেষ্টা করা হবে।