বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মাকে পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াসমিন এতথ্য নিশ্চিত করেন।

এদিকে, তদন্ত কমিটির কার্যদিবস শুরুর দিনেই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা আবারও বিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে। এসময় তারা প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনের অপসারণের দাবি জানান। পরে সংবাদ পেয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিলুফা ইয়াসমিন ঘটনাস্থলে যান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা বলেন, এক শিক্ষার্থীর মাকে পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার ঘটনায় সেই বিচারকের শাস্তিমূলক বদলি হয়েছে। কিন্তু সেদিনের সেই ঘটনায় প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া খাতুনও সমানভাবে দায়ি। তিনি ছিলেন সেখানকার বিচারক। আর সবাই ছিল অভিভাবক। কিন্তু প্রধান শিক্ষিকা পা ধরতে বাধ্য করেছেন একজন প্রভাবশালীর কারনে। তাই এজন্য প্রথমেই তারই অপসারণ হওয়া উচিত ছিল।

বিক্ষোভকারীরা আরো বলেন, প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া খাতুন এখানে প্রায় ১৬ বছর ধরে আছেন। তিনি এখানে একক আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তার করেছেন। আমরা তার দ্রুত অপসারণ চাই।

তবে এবিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া খাতুন বলেন, ওই ঘটনায় তদন্ত চলছে। আমিও তদন্তের অধীনে। তাই কোন কথা বলতে চাই না।

এবিষয়ে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মাকে পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার ঘটনার তদন্ত করতে আমাকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।