ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচনে তিনজন শিক্ষক প্রতিনিধির ভোট পেতে ৬ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েও ভোট পাননি এলাঙ্গী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এমএ তারেক হেলাল। তাই ঘুষের টাকা ফেরত পেতে ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে আসামী করে ধুনট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
জানাগেছে, গত ২০ মার্চ ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করার লক্ষ্যে ৫ জন অভিভাবক সদস্য ও ৩ জন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে অভিভাবক সদস্য পদে আব্দুল হান্নান, আরিফুল ইসলাম টুকু, ফরহাদ হোসেন, আব্দুল হান্নান আকন্দ ও জেসমিন আক্তার নির্বাচিত হন। এছাড়া শিক্ষক প্রতিনিধি হিসাবে সহকারী শিক্ষক আব্দুল হান্নান, কামাল পাশা ও রুনা লায়লা নির্বাচিত হন।
এরপর ২৫ মার্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচনে জমিদাতা সদস্য হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এলাঙ্গী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান এমএ তারেক হেলাল ও আওয়ামীলীগ মনোনীত বর্তমান চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক। নির্বাচনে ৫ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন বর্তমান চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক এবং ৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হন সাবেক চেয়ারম্যান এমএ তারেক হেলাল।
এদিকে ভোটে পরাজিত হয়ে এমএ তারেক হেলাল দাবি করেন ৬ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েও শিক্ষক প্রতিনিধিরা তাকে ভোট দেননি। তাই ক্ষুদ্ধ হয়ে টাকা ফেরত পেতে গত সোমবার এমএ তারেক হেলাল বাদী হয়ে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল হান্নানকে আসামী করে ধুনট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এবিষয়ে এমএ তারেক হেলাল বলেন, গত ২৪ মার্চ ভোট চাইতে গেলে সহকারী শিক্ষক আব্দুল হান্নান ভোট দিতে স্বীকার করে এবং আরো দুটি ভোটও নিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এজন্য বিদ্যালয়ের উন্নয়নকল্পে তার সঙ্গে ৬ লাখ টাকার চুক্তি হয়। সেই চুক্তি মোতাবেক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কান্তনগর টেকনিক্যাল স্কুল মাঠে উপস্থিত কয়েকজনের সামনে শিক্ষক আব্দুল হান্নানকে ৬ লাখ টাকা প্রদান করি। কিন্তু তিন জন শিক্ষক প্রতিনিধির ভোট প্রদানের কথা থাকলেও মাত্র ১টি ভোট দিয়েছে। তাই টাকা ফেরত পেতে পুলিশ ও সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
তবে এবিষয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল হান্নান বলেন, ভোটের ব্যাপারে এমএ তারেক হেলালের সঙ্গে আমার কোন চুক্তি হয়নি। তাই ভোটে পরাজিত হয়ে তিনি আমার বিরুদ্ধে থানায় ও সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
এবিষয়ে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, এমএ তারেক হেলালের অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে।