আব্দুর রহিম রানা, যশোর : অনুসন্ধানবার্তা
যশোরের ঝিকরগাছায় প্রেমিকা লিয়া খাতুনের বাড়ি থেকে প্রেমিক ইলিয়াস হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মেয়ে পক্ষের দাবি সে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু আত্মহত্যা মানতে নারাজ ছেলের পরিবার। মৃতের স্বজনদের অভিযোগ তাকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত প্রেমিকা ও তার পিতা। এ ঘটনায় প্রেমিকা লিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।
নিহত ইলিয়াস হোসেন চৌগাছা উপজেলার পাশাপোল ডিগ্রি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। এদিকে ইলিয়াসের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। স্বজনদের কান্না আর আহাজারীতে ভারী হয়ে উঠেছে আশপাশের পরিবেশ।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টার দিকে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। পুলিশ বলছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে প্রেমিকা লিয়া খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়া হয়েছে এবং মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, ঝিকরগাছা উপজেলার শ্রীচন্দ্রপুর গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে ইলিয়াস হোসেনের সাথে প্রতিবেশী আয়নাল হকের মেয়ে লিয়া খাতুন হীরার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। টানা ৩ বছর ধরে তারা প্রেম করেছে। উভয় পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতেন।
শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে লিয়া মুঠোফোনে ইলিয়াসের আত্মহত্যার খবর দেয় তার মামাতো ভাই ইয়াসিনকে। ফোন পেয়ে ইয়াসিন নামে ওই তরুণ লিয়ার বাড়ির জানালার পাশে গিয়ে ইয়াসিনের মরদেহ দেখতে পায়। তবে মৃতের গলায় দড়ি বা কোন কাপড় পাননি। এরপর ইলিয়াসের বাড়ি গিয়ে তার বাবা-মাকে মৃত্যুর খবর জানায় ইয়াসিন। ইলিয়াসের পিতা ও চাচাদের অভিযোগ তাদের সন্তানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের পিতা ফারুক হোসেন জানান, ছেলে কখন রিয়ার সাথে দেখা করতে গেছে আমরা কিছুই জানি না। খবর পেয়ে লিয়াদের বাড়িতে গিয়ে ছেলের মৃতদেহ দেখতে পাই। লিয়া ও তার বাবা-মা পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমি এ ঘটনায় মামলা করবো।
ঝিকরগাছা থানার ওসি সুমন ভক্ত জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে প্রেমিকা লিয়া খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়া হয়েছে। মৃতদেহের ময়না তদন্তের পরই বোঝা যাবে এটা হত্যা, না আত্মহত্যা।