ধুনটে স্কুল ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় থানায় মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার ধুনটে ৯ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ মে) অপহৃত স্কুল ছাত্রীর বাবার অভিযোগটি আমলে নিয়ে ৭দিন পর মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করে থানা পুলিশ।

এরআগে গত ৭ মে ধুনট মডেল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অপহৃত মেয়েটির বাবা মোস্তাফিজুর রহমান আইনী সহায়তা পেতে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন। এবিষয়ে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা সহ জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় ‘ধুনটে অপহৃত স্কুল ছাত্রী ৫ দিনেও উদ্ধার হয়নি, হতাশায় পরিবার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি প্রকাশের পর বগুড়া পুলিশ সুপার ও ধুনট থানার ওসির দৃষ্টিগোচর হওয়ায় অবেশেষে ৭দিন পর অপহণের মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করা হয়।

মামলাসূত্রে জানাগেছে, ধুনট সদরের উল্লাপাড়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের মেয়ে (১৪) স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী। বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার পথে ধুনট সদরের উল্লাপাড়া গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে জুবায়ের মাহমুদ সাম্মু (২৪) প্রায়ই তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যাক্ত করে আসছিল। এমনকি তার প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হলে অপহরণের হুমকিও দিয়ে আসছিল সাম্মু। গত ২ মে রাত ১০টার দিকে মেয়েটি খাওয়া-দাওয়া শেষে বাড়ির আঙ্গিনায় হাঁটাহাঁটি করছিল। এসময় সেখানে আগে থেকেই ঔঁত পেতে থাকা বখাটে সাম্মু ও তার সহযোগিরা মেয়েটির মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এঘটনায় মেয়েটির বাবা গত ৩ মে ধুনট থানা পুলিশকে অবগত করলে তারা নিখোঁজের একটি জিডি দায়ের দায়ের করেন। একারনে মেয়েটি বাবা অভিযোগ করেন ‘তার মেয়েকে অপহরণ করা হলেও পুলিশ কোন মামলা নেয়নি।’ তাই তিনি তার মেয়েকে ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন।

এবিষয়ে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, প্রথমে মেয়েটির বাবা তার মেয়েকে খুঁচ্ছে পাচ্ছিলেন না বলে জানিয়ে ছিলেন। তাই জিডি নেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে তিনি যখন জানিয়েছেন তার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে, তারপর বিষয়টি তদন্ত করে তিন জনের রিরুদ্ধে মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করা হয়েছে এবং মেয়েটিকে উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।