স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার ধুনটে তালাক দেয়া স্বামীকে পুনরায় বিয়ে করায় মায়ের বকুনিতে অভিমান করে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। রবিবার (২৮ মে) কালেরপাড়া ইউনিয়নের কাঁদাই উত্তরপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত সুমাইয়া আক্তার বাসনা (১৫) কাঁদাই উত্তরপাড়া এলাকার বাদশা প্রামানিকের মেয়ে এবং সে সরুগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
থানাসূত্রে জানাগেছে, গত এক বছর আগে সরুগ্রাম এলাকার সাইদুলের ছেলে বিল্পব (৩০) প্রেমের ফাঁদে ফেলে সুমাইয়া আক্তার বাসনাকে পালিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। তারপরও উভয় পরিবার তাদের বিয়ে মেনে নেয়। কিন্তু বিয়ের মাত্র তিন মাস পর থেকেই নববধু স্কুল ছাত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছিল বিল্পব। একপর্যায়ে বাধ্য হয়েই প্রেমিক স্বামীকে তালাক দেয় কিশোরী বধু সুমাইয়া আক্তার বাসনা। কিন্তু এর কয়েক মাস পরই তালাকপ্রাপ্ত স্বামী প্রলোভন দেখিয়ে সুমাইয়া আক্তারকে আবারো বিয়ে করে।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, তাদের পুনরায় বিয়ের বিষয়টি রবিবার (২৮ মে) জানাজানি হলে তার মা তাকে বলে “তুই পুনরায় বিয়ে করবি, তাহলে তালাক দিলি কেন?” একই কথা শুনে মেয়েটি অভিমান করে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ির বারান্দায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানায় তার স্বজনেরা।
এবিষয়ে ধুনট থানার এসআই শহিদুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এবিষয়ে কারো কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ বিনা ময়না তদন্তে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এঘটনায় ধুনট থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।