বগুড়ায় কোরবানির গরু দু’বার বিক্রি করায় ৯৯৯ ফোন!

সাজু মিয়া, শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি: অনুসন্ধানবার্তা
বগুড়ার শিবগঞ্জে একই কোরবানীর গরু দু’বার বিক্রি করা নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার দ্বন্দ্ব অবশেষে ৯৯৯ ফোনে দিয়ে পুলিশের হস্তক্ষেপে নিস্পত্তি হয়েছে।

জানা গেছে, আসন্ন পবিত্র ঈদ উল আজহা উপলক্ষে শিবগঞ্জ উপজেলার ধামাহার (নাটমরিচাই) গ্রামের সাইফুল ইসলাম, চাঁন মিয়া, জিয়াউর রহমান সহ কয়েক জন মিলে কোরবানির পশু ক্রয়ের প্রস্তুতি নেন।

তারা একই গ্রামের রফিকুল ইসলাম এর ছেলে তোফায়েল আহম্মেদের পালিত ষাড় গরুটি পছন্দ করে। পশুর মূল্য ৮৯ হাজার টাকায় ক্রয় করার জন্য গরুর মালিক তোফায়েল আহম্মেদের সাঙ্গে দাম ঠিক করে অগ্রিম ১৫ হাজার টাকা বায়না দেন।

কিন্তু গরুর মালিক তোফায়েল আহম্মেদের স্ত্রী মাহমুদা বেগম গরুটি অন্যত্র ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করার জন্য পুনরায় পুনরায় বায়না নেয়। বিষয়টি পূর্বের ক্রেতাগণ জানতে পেরে গরুর মালিকের বাড়িতে যান এবং জানতে চান এক গরু দুই বার কেন বিক্রি করলেন? একপর্যায়ে ক্রেতাগণ ক্ষিপ্ত হয়ে গরু বের করে নিয়ে আসতে থাকলে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এসময় গরু মালিকেজর মেয়ে খাদিজাতুল কোবরা সরকারি জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে আইনী সহায়তা চান। পরে ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টির সমাধান করেন।

এ বিষয়ে গরুর মালিক তোফায়েল আহম্মেদের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, এটা অনাকাঙ্খিত ঘটনা। গরুটি দু’বার বিক্রি করায় এ ঘটনা ঘটেছে।

এব্যাপারে সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা কোরবানি করার উদ্দেশ্যে গরুটি ক্রয় করেছি। গরুর ন্যায্য মূল্য দিয়ে গরুটি নিয়ে আসবো। কিন্তু হঠাৎ করে জানতে পারি আমাদের ক্রয়কৃত গরু অন্যের নিকট বিক্রি করা হয়েছে। এমন সংবাদ পেয়ে আমাদের লোকজন গরু নিতে গেলে রফিকুল সহ তার ছেলে মারমুখী আচরণ করে।

এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার এসআই রায়হান বলেন, ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে সরেজমিন গিয়ে গরুর মালিকের দাবিকৃত টাকা বুঝিয়ে দিয়ে প্রথম ক্রেতাদের কাছেই গরুটি হস্তান্তর করা হয়েছে।