অনুসন্ধানবার্তা ডেস্ক:
জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট পাস হয়েছে। সোমবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদে চলতি অর্থবছরের বাজেট পাসের জন্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
গত ২৫ জুন পর্যন্ত প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যদের সাধারণ আলোচনার পর সোমবার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট পাসের (নির্দিষ্টকরণ বিল) প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী এবং তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিরোধী দলের সদস্যদের ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো ভোটে নাকচ হয়ে যায়। এ বাজেট পাসের আগে মন্ত্রীরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ব্যয় নির্বাহের যৌক্তিকতা তুলে ধরে সংসদে মোট ৫৯টি মঞ্জুরি দাবি উত্থাপন করেন।
এবারের বাজেটের মূল দর্শন হলো ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ। যুদ্ধ ও মহামারি আক্রান্ত অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, আইএমএফের শর্ত বাস্তবায়ন, নির্বাচনী বছরের চাপ, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখা, রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি, বাজেট ঘাটতির অর্থায়ন, উন্নয়ন কর্মসূচি চলমান রাখাসহ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার মতো নানামুখী চাপের মধ্যে এই বাজেট করা হয়।
এবারের বাজেটে সঙ্গত কারণেই স্বাস্থ্য, কৃষি, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ছিল ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। তা সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১ লাখ ১ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা বেশি। আর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছর ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি (অনুদান ব্যতীত) ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয় ২ লাখ ২৭ হাজার ৫০৭ টাকা। মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছর ছিল ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে ৬ শতাংশ।