সাজু মিয়া, শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি: অনুসন্ধানবার্তা
বগুড়ায় দেখা দিয়েছে গরুর লাম্পি স্কিন রোগ (এলএসডি)। গত এক সপ্তাহে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ১২টি গরুর লাম্পি স্কিন রোগের চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছেন। এ রোগ ছড়িয়ে পড়ায় উপজেলার কৃষক ও খামারীরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে লিফলেট বিতরণ ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে সতর্ক করা হচ্ছে।
শিবগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, গরুর লাম্পি স্কিন ভাইরাসজনিত রোগ। এখন পর্যন্ত এ রোগের কোনো প্রতিষেক আবিষ্কৃত হয়নি। এ রোগে আক্রান্ত গরুর শরীরে প্রথমে জ্বর দেখা দেয় এবং খাবারের রুচি কমে যায়। জ্বর বেশি হলে নাক-মুখ দিয়ে লাল বের হয়, পা ও গলা ফুলে যায়। আক্রান্ত গরুর বুকের নিচে দুই পায়ে মাঝে পানি জমে। গরুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে চামড়ায় গুটি গুটি ক্ষত হয় এবং পচন ধরে । সেই সঙ্গে চামড়া থেকে লোম উঠে যায়। সঠিক সময়ে চিকিৎসা নেওয়া শুরু করলে এ রোগে আক্রান্ত পশু সুস্থ হতে প্রায় এক মাস সময় লাগে। বড় গরু লাম্পি স্কিন রোগে তুলনামুখ কম ঝুঁকিতে থাকলেও বাছুর-গরু আক্রান্ত হলে দিন দিন দূর্বল হয়ে পড়ে এবং মৃত্যুঝুঁকি বেশি থাকে।
পৌর এলাকার বেড়াবালা গ্রামের কৃষক রিপন মিয়ে বলেন, আমার ৯ মাসের একটি গরুর লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। স্থানীয় দোকান থেকে ঔষুধ ক্রয় করে গরুকে খাওয়ানোর পরে অসুখ ভালো না হওয়ায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে এসেছি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটারিনারি হাসপাতাল ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ মোঃ মোনতাসির মামুন বলেন, এ উপজেলায় লাম্পি স্কিন রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু এ রোগে ভয়ের কিছু নেই। গরুর এ রোগ হলে নিয়মিত পরিচর্যা করার পাশাপাশি, মশারী টাঙ্গানো সহ নিয়মিত ঔষুধ সেবন করালে এ রোগ ভালো হবে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, এটা একটি ভাইরাস জনিত রোগ। খামারী ও কৃষকদের কে এ রোগ সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে। এ রোগের চিকিৎসা হিসাবে পশুদের গড পক্স নামে ভ্যাকসিন পুশ করা হচ্ছে। যে গুলো পশু প্রাণিসম্পদ অফিসে আনছে রোগের অবস্থা দেখে পশুর চিকিৎসা করা সহ কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।