স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধানবার্তা:
বঙ্গবন্ধু খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার দাবীতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বগুড়া জেলা যুবলীগ। রবিবার (৬ আগস্ট) দুপুর ১২ টায় বগুড়া জেলা প্রশাসক মো: সাইফুল ইসলামের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
বগুড়া জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলুর নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা কামরুল মোর্শেদ আপেল, আহম্মেদ কবীর মিন্টু, লতিফুল ইসরাত মুন্না, অধ্যাপক নাছিরুজ্জামান টিটো, শরিফুল আলম শিপুল, শেখ এজাজুল হক ডনেল, সাজেদুর রহমান সিজু, মাইসুল তোফায়েল কোয়েল, মাহফুজুল আলম জয়, উদয় কুমার বর্মন, ইফতারুল ইসলাম মামুন, নুরেজ্জামান সিদ্দিক, কাওছার হামিদ রুবেল, রবিউল হায়াত পটল, মোশারফ হোসেন বুলবুল, আব্দুল আলীম, জহুরুল ইসলাম মানিক, আব্দুল হান্নান, এনামুল হক সরদার, রহমাতুল ইসলাম মনির, শ্রী সোহেল, মোস্তাফিজার রহমান বাবু, আতিকুল হক, সেলিম মন্ডল, আখতারুল আলম শাহীন, কামরান হোসেন, রুবেল সরকার, বাছির আল বাপ্পি, শহীদ হোসেন প্রামানিক।
স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, ১৯৭৫ সালের এ মাসেই বাঙালি হারিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান, মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকদের হাতে আরো প্রাণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেল এবং পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও প্রখ্যাত সাংবাদিক শেখ ফজলুল হক মনি, তাঁর সহধর্মিণী আরজু মনি সহ পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজন। সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপদগামী সদস্য সুপরিকল্পিতভাবে স্বপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর গোটা বিশ্বে নেমে আসে তীব্র শোকের ছায়া এবং ছড়িয়ে পড়ে ঘৃণার বিষবাষ্প।
স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই বিচার শুরু হয়। ‘১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনিদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের বিচার কার্যকর হলেও খুনিদের কয়েকজন দেশের বাইরে পলাতক আছে। তাদেরকে অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে। খুনিদের যেসব দোসর এখনও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে, তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। একই সাথে ১৫ আগষ্ট হত্যাকান্ডের মাষ্টারমাইন্ড খুনি জিয়াউর রহমানের মরনোত্তর বিচার দেশপ্রেমিক যুবসমাজ তথা শান্তিপ্রিয় দেশবাসীর প্রত্যাশা। নির্মম ১৫ আগষ্ট ও ভয়াবহ ২১ আগষ্ট হত্যাকান্ডে জড়িত সকল আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলে দেশ কলঙ্কমুক্ত হবে। সেজন্য স্মারকলিপির মাধ্যমে অতিদ্রুত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত পলাতক খুনিদের রায় কার্যকর করার দাবী জানানো হয়।