কাজিপুরে হয়রানির শিকার সাবেক ইউপি সদস্য

আবু তৈয়ব সুজয়, কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: অনুসন্ধানবার্তা
কাজিপুর থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের চরাঞ্চলের সাবেক এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে রীতিমত হয়রানি করা হচ্ছে। হয়রানির শিকার রফিকুল ইলামের বাড়ি উপজেলার খাসরাজবাড়ি ইউনিয়নের যুক্তিগাছা গ্রামে। তিনি ওই ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য।

থানায় মিথ্যা অভিযোগকারী শহিদুল ইসলাম (৪০) একই গ্রামের মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে। তিনি গত ১৯ আগস্টে কাজিপুর থানায় ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। এতে পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১২ আগস্ট রাতে পূর্বশত্রুতার জের ধরে খাসরাজবাড়ি ইউনিয়নের গোদারবাগ বাজারে শহিদুলের হার্ডওয়্যারের দোকানে হামলা করে ওই ইউপি সদস্য সহ অন্যান্যরা। তাতে আরও উল্লেখ করা হয় শহিদুল ইসলামের দোকানের ক্যাশ বাক্সে থাকা সোয়া দশ হাজার টাকা ছিনতাই করে ওই মেম্বররা।

কিন্তু সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে শহিদুল ইসলামের করা অভিযোগের সাথে বাস্তবের কোন মিলই নেই। শহিদুল ইসলামের পার্শ্ববর্তী ওষুধের দোকানী শাহিনুর ইসলাম শাহিন বলেন, ‘ওই দিন অনেক রাত পর্যন্ত আমি দোকানে ছিলাম। আমার জানা মতে হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি।’

কাপড়ের দোকানী লাল চাঁনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দোকানপাট ভাঙচুর বা টাকা ছিনতাইয়ের কোন ঘটনাও ঘটেনি। আমিতো তার পাশের দোকানদার। ঘটনা ঘটলে অবশ্যই আমি জানতাম।

চায়ের দোকানদার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি তো অনেক রাত পর্যন্ত চা বিক্রি করি। বাজার চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত এখানে মারামারি, হামলা বা ভাঙচুরের কোন ঘটনা ঘটেনি। বাজারের বদনাম করার জন্যই থানায় এ ধরণের মিথ্যা অভিযোগ করেছে।’

সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, ‘এলাকায় আমার একটা সুনাম আছে। এই সুনাম নষ্ট করতেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয়েছে। সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে থানায় অভিযোগকারির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করছি।’

থানায় দেয়া অভিযোগকারি শহিদুল ইসলামের সাথে একাধিকবার যোগযোগের চেষ্টা করেও মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। খাসরাজবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ওই বাজারে এ ধরনের কোন ঘটনাই ঘটেনি।’

অভিযোগের তদন্তকারি কর্মকর্তা ও নাটুয়ারপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।