ধুনটে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে না দেয়ায় স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার ধুনটে সহপাঠী প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে না দেয়ায় বাবা-মার উপর অভিমান করে রঞ্জনা খাতুন (১৬) নামে এক স্কুল ছাত্রী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ধুনট থানা পুলিশ ওই ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপালের মর্গে প্রেরন করেছে। নিহত রঞ্জনা খাতুন ধুনট সদর ইউনিয়নের বেলকুচি গ্রামের রঞ্জু মিয়ার মেয়ে এবং সে ধুনট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী।

থানা পুলিশ ও স্থানীয়সূত্রে জানাগেছে, রঞ্জনা খাতুনের সঙ্গে ধুনট সদর ইউনিয়নের মালোপাড়া গ্রামের শামসুল হকের ছেলে একই ক্লাসের ছাত্র মোফাজ্জল হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কয়েকদিন আগে সন্ধ্যার দিকে মোফাজ্জল হোসেন সহপাঠী হিসেবে খাতা দিতে রঞ্জনা খাতুনের বাড়িতে যায়। এসময় মোফাজ্জল হোসেনকে আটক করে রাখে রঞ্জনার ভাই ও চাচারা। পরবর্তীতে তাদের উভয়ের সম্মতিতে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় মাতব্বররা। কিন্তু রঞ্জনার খাতুনের বাবা-মা ঢাকায় গার্মেন্টেসে চাকরি করার কারনে সেই দিন তাদের আর বিয়ে হয়নি।

শনিবার সকাল ১১টার দিকে তার বাবা-মা ঢাকা থেকে এসে তাদের বিয়ে মেনে না নিয়ে রঞ্জনাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে চায়। এতে সে ক্ষুদ্ধ হয়ে কিছুক্ষন পর ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে আত্মহত্যা করে। পরে ১৫ মিনিট পর দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এবিষয়ে ধুনট থানার এসআই আব্দুল খালেক জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ধরনা করা হচ্ছে, সহপাঠি প্রমিকের সঙ্গে বিয়ে না দেয়ায় বাবা-মার উপর অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে।

ধুনট থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মনিরুল ইসলাম জানান, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে এবং থানায় একটি ইউডি (অপমৃত্যু) মামলা দায়ের হয়েছে।