
ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের ফলে ডিভোর্সি এক প্রতিবন্ধী নারী (২৫) অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর সেই ধর্ষক ফরহাদ হোসেনকে (১৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) ওই ধর্ষিতা নারীর ছোট ভাই বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করলে পুলিশ তাৎক্ষনিক বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ওই ধর্ষককে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ধর্ষক ফরহাদ হোসেন ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের শৈলমারী গ্রামের মাহবুব হোসেনের ছেলে।
জানাগেছে, ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের শৈলমারী গ্রামের মরহুম এক ব্যক্তির মেয়ের সঙ্গে তিন বছর আগে জোড়শিমুল এলাকার এক ব্যক্তির বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে ছেলেটির বয়স প্রায় দেড় বছর। এমতাবস্থায় গত এক বছর আগে মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেরায় মেয়েটিকে ডিভোর্স দেয় তার স্বামী। এরপর মেয়েটি তার বাবার বাড়িতে এসে ছোট ভাইয়ের সংসারে ছোট্টো ছেলেটিকে নিয়ে বসবাস শুরু করে। এমতাবস্থায় গত ১৩ এপ্রিল রাতে মেয়েটিকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে প্রতিবেশি মাহবুব হোসেনের ছেলে ফরহাদ হোসেন (১৮)। ধর্ষণের এই ঘটনাটি জানাজানি করা হলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় ফরহাদ।
এবিষয়ে মেয়েটির চাচা আব্দুর রহমান আকন্দ বলেন, প্রতিবন্ধী মেয়েটির শারীরিক গঠন পরিবর্তন দেখে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ধুনট উপজেলার একটি ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানতে পারি। পরে মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ভয়ে ভয়ে ফরহাদ হোসেনের নাম বলে। তাকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। এরপর স্থানীয় মাতব্বররা বিচার পাইয়ে দেয়ার কথা বলে নানান তালবাহানা করেছে এবং কেউ যাতে থানা পুলিশের কাছে না যায়, এজন্য হুমকিও প্রদান করেছিল তাদের লোকজন। পরে সাংবাদিকদের সহযোগিতায় সোমবার দুপুরে ধর্ষিতার ছোট ভাই বাদী হয়ে ধুনট থানায় ধর্ষক ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে অভিযোগটি আমলে নিয়ে মঙ্গলবার মামলা হিসেবে রেকর্ডভুক্ত করে তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ধর্ষক ফরহাদ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তবে এবিষয়ে ধুনট থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মনিরুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা রেকর্ডের পর তাৎক্ষনিক বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ওই ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে।