বগুড়ায় আ’লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ায় হরতালকে কেন্দ্র করে আ’লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষ হয়েছে। রবিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়া শহরের গালাপট্টি সড়কে এই সংঘর্ষ হয়। এসময় ৪/৫টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পৃথক সংঘর্ষে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

রবিবার সকাল থেকেই হরতালের সমর্থনে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেন। অপরদিকে হরতালের বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথায় শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের আয়োজন করে।

একপর্যায়ে মিছিল নিয়ে বিএনপি কর্মীর গালাপট্টির সড়কের বগুড়া শহর বিএনপি অফিসে আসলে আওয়ামী লীগ কর্মীরা তাদেরকে ধাওয়া করলে দুই দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হওয়া সংঘর্ষে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া এবং ইট পাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় দলের প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বগুড়া জেলা বিএনপি’র সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা বলেন, শান্তিপূর্ণ হরতালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাদের উপর প্রথমে হামলা চালিয়েছে। পরে আমি গিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের সরিয়ে নিয়ে আসি। আমাদের বহু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনি বলেন, রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহরের গালাপট্টি এলাকায় শহর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আল রাজি জুয়েল, শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক উদয় কুমার বর্মন, আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ, ছাত্র লীগ নেতা নাইম সহ অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এছাড়া সকাল সাড়ে ৯টায় শহরের চারমাথা এবং বাঘোপাড়া এলাকায় বেসরকারী সংস্থা টিএমএমএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রুগী পরিবহনের দু’টি গাড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে হরতাল সমর্থনকারীরা। এ সময় শিশু সহ ৬ জন রোগী আহত হয়।

বগুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংঘর্ষকালে পুলিশের একাধিক সদস্যও আহত হয়েছেন।