ইউপি সদস্যের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলের মরদেহ উদ্ধার

জেমস আব্দুর রহিম রানা: অনুসন্ধানবার্তা
যশোরের মনিরামপুরে রাস্তার পাশে পড়ে থাকা অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলম (২৮) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে মনিরামপুর-নেহালপুর সড়কের সাতনল-জোড়া পোল নামক স্থান থেকে ওই মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত জাহাঙ্গীর আলম মনিরামপুর উপজেলার পাড়িয়ালী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল হক দফাদারের ছেলে। তিনি ঢাকা কলেজ থেকে গণিত বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) শেষ করে বর্তমানে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ছিলেন। তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন।

জাহাঙ্গীর আলমের মামা ইবাদুর হোসেন জানান, জাহাঙ্গীর ঢাকায় লেখাড়ার পাশাপাশি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তিন বছর আগে সে বিয়ে করে বাড়িতে রেখে যায়। বৃহস্পতিবার সে তার স্ত্রীকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বাড়িতে আসছিল। কিন্তু বাড়ি পর্যন্ত সে পৌছাতে পারলো না।

জাহাঙ্গীর আলমের ভাগ্নে মাহফুজ হোসেন বলেন, ‘ঢাকা কলেজের আর্ন্তাতিক হলে থেকে লেখাপড়ার পাশাপাশি আর এফ এল কোম্পানিতে চাকরি করতেন জাহাঙ্গীর। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৯টার সময় ঢাকা থেকে লিটন ট্রাভেলস পরিবহনের একটি গাড়িতে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। রাত সাড়ে ৩ টায় মণিরামপুর বাজারের মোহনপুর বটতলা মোড়ে গাড়ি থেকে নেমে বাড়িতে স্ত্রীর কাছে ফোন করেন এবং তার স্ত্রী ইতিকা খাতুনকে বলেন ভোরে মনিরামপুর বাজার থেকে তাঁকে যেন আনা হয়। এ জন্য রাত ৪টার দিকে বাড়ি থেকে লোকজন মনিরামপুর বাজারে এসে তাঁর অপেক্ষায় থাকেন।’

মাহফুজ হোসেন আরও বলেন, ‘কিন্তু সকাল পর্যন্ত জাহাঙ্গীরের দেখা পাননি তাঁরা। তবে, স্থানীয় নাইটগার্ড বলেছে তাকে একটি মোটরসাইকেলে উঠিয়ে মোহনপুর থেকে নেহালপুর রোডে নিয়ে গেছে। পরে সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে সাতনল-জোড়া পোলের পাশে জাহাঙ্গীরের মরদেহ পড়ে থাকার খবর পাই।’

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের প্রাথমিক তদন্ত করে নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। সকালে লোকজন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় মেইন রাস্তা থেকে ২০/২৫ ফুট দুরে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। প্রকৃত কারণ জানতে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’