
স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার ধুনটে বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের লাইসেন্স বহাল রাখার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয় কৃষকেরা। সোমবার বিকেলে চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের বাটিকাবাড়ী দক্ষিণপাড়া এলাকার ফসলী মাঠে তারা ওই কমসূচি পালন করেন।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বাটিকাবাড়ি গ্রামের রসুল খানের ছেলে সেচ পাম্পের মালিক সুলতান মাহমুদ বলেন, ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর ধুনট উপজেলা সেচ কমিটির মাধ্যমে সেচ পাম্পের লাইসেন্স নিয়ে এই এলাকার প্রায় ৮০ বিঘা জমিতে পানি সেচ দিয়ে আসছি। কিন্তু লাইসেন্স প্রাপ্তির এক বছর পরই পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া সেচ কাজ ব্যাহত হচ্ছিল। একারনে নির্ধারিত স্থান থেকে সেচ পাম্পটি নিয়মের মধ্যেই মাত্র কয়েক ফুট দূরে স্থাপন করা হয়।
তিনি আরো বলেন, আর একারনেই পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই গ্রামের মৃত আব্দুল শেখের ছেলে পাশ^বর্তী সেচ পাম্পের মালিক বেল্লাল হোসেন এবিষয়ে উপজেলা সেচ কমিটি, পল্লী বিদ্যুৎ ও বিএডিসি অফিস সহ বিভিন্ন দপ্তরে বিভিন্ন মিথ্যা ও বানায়াট অভিযোগ করেন। তবে এর কয়েকদিন পরই সেচ পাম্পটি পূর্বের স্থানে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু এরপরও বেল্লাল হোসেন বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে আসছেন। এমনকি তিনি এব্যাপারে ধুনট উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ইউএনও, সদস্য সচিব, বিএডিসি কর্মকর্তা ও পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম সহ ৮ জনকে বিবাদী করে আদালতে মিথ্যা মামলা পর্যন্ত দায়ের করেছেন। এরপর বেল্লাল হোসেন আমার এই সেচ পাম্পের লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন। তাই তার হয়রানী ও মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে স্থানীয় ভুক্তভোগি কৃষকেরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
বাটিকাবাড়ী গ্রামের ভুক্তভোগি কৃষক জাহিদুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম ও আয়েজ উদ্দিন জানান, সুলতান মাহমুদের সেচ পাম্পের মাধ্যমে এই এলাকার প্রায় ৮০ জমি জমি চাষাবাদ করা হয়। কিন্তু বেল্লাল হোসেনের অভিযোগে ভিত্তিতে অনেক আগে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পরবর্তীতে তৎকালীন ইউএনও সঞ্জয় কুমার মহন্তের নির্দেশনায় কৃষি অফিসার আসাদুজ্জামান অভিযোগটি সরেজমিন তদন্ত করে ২০২৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করা প্রঙ্গনে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর সেচ কমিটির সভাপতি তৎকালীন ইউএনও সঞ্জয় কুমার মহন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ পুণবহাল করতে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসকে চিঠি দেন। পরবর্তীতে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস আবারো সংযোগ প্রদান করেন। আর একারনেই ক্ষিপ্ত হয়ে কৃষকদের হয়রানী করার জন্য সেচ পাম্পের লাইসেন্স বাতিলের অপচেষ্টা করছেন বেল্লাল হোসেন। তবে এই সেচ পাম্প বন্ধ হলে অনেক কৃষকই ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাই সেচ পাম্পের লাইসেন্স বহালের দাবি জানান তারা।
এবিষয়ে ধুনট পল্লী বিদ্যুতের এজিএম শামছুল হক জানান, উপজেলা সেচ কমিটির সিদ্ধান্তে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। তাই লাইসেন্সের বিষয়টি উপজেলা সেচ কমিটি দেখবেন।
এবিষয়ে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিক খান বলেন, আমি নতুন যোগদান করার পর উপজেলা সেচ কমিটির কোন মিটিং হয়নি। তাই এই বিষয়টি অবগত নই। তবে মিটিং হলে এসব বিষয় উত্থাপন করা হবে।