বগুড়ায় কুপিয়ে পা বিচ্ছিন্ন করার মামলায় একজন গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় কুপিয়ে এক ব্যক্তির শরীর থেকে পা বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার ২নং আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) গ্রেফতারকৃত আসামীকে বগুড়ার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার গ্রামকরমজা এলাকার মৃত টুকু প্রামাণিকের ছেলে মুঞ্জু মিয়া (৩৪)।

র‌্যাব জানায়, গত ৬ ডিসেম্বর বগুড়া জেলার সোনাতলা থানায় আব্দুল মতিন নামে এক ব্যক্তি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, সোনাতলা থানাধীন গ্রামকরমজা গ্রামের মুঞ্জু মিয়ার (৩৪) সঙ্গে টাকা-পঁয়সা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত তার ভাই আব্দুর রশিদের (৪৫) বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে গত ৬ ডিসেম্বর তার কর্মস্থলে যাওয়ার পথে সোনাতলা থানাধীন গ্রামকরমজা দক্ষিণপাড়া এলাকায় আসামীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে এলোপাথারী মারপিটসহ হত্যার উদ্দেশ্যে হাসুয়া, লোহার রড দিয়ে গুরুতর জখম করে। এতে আব্দুর রশিদের একটি পা শরীর থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

এঘটনায় বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোনাতলা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। এদিকে এই ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ ঘটনার পর থেকেই র‌্যাব ওই আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে। এরই ফলশ্রুতিতে সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) র‌্যাব-১২, বগুড়া ক্যাম্পের সদস্যরা আভিযান চালিয়ে বগুড়া সদর থানাধীন এরুলিয়া বানদিঘি এলাকা থেকে ২নং আসামী মো মুঞ্জু মিয়াকে গ্রেফতার করে।

এবিষয়ে র‌্যাব-১২, বগুড়ার কোম্পানী কমান্ডার পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে আত্মগোপনে ছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার ২নং আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।