জেমস আব্দুর রহিম রানা:
ডাব খাওয়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে মাগুরার দুই ভাইকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করেছে। সোমবার দুপুর ২টায় মাগুরা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: কলিমুল্লাহ এ তথ্য জানান।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, মাগুরার মহম্মদপুরের পানিঘাটা ঢোকচান্দের মাঠে জোড়া খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আশিকুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। আটক আশিকুর ডাব খাওয়ানোর কথা বলে হত্যার স্বীকার করে জানায়, তারা সবুজ মোল্লা ও হৃদয় মোল্লাকে ডেকে মাঠে নিয়ে যায়। পরিকল্পিতস্থানে পৌছালে অন্য সহযোগীরা তাদের দুই ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করে। ঘটনার পর থেকে আশিক পুলিশের সন্দেহের তালিকায় ছিল। তদন্ত এখনও চলমান। এখনই এর বেশি বলা সম্ভব নয়। তবে হত্যাকারী ও হত্যাকান্ডের শিকার উভয়ের মধ্যে আগে থেকেই সু-সম্পর্ক ছিল। তা না হলে শীতের রাতে তারা ডাব খাওয়ার কথা শুনে হত্যাকারীদের পিছু নিতো না।
এবিষয়ে নিহত সবুজ ও হৃদয়ের বড় ভাই আবুল কালাম বলেন, আমার ভাই সবুজ পেশায় মুদি দোকানদার এবং হৃদয় নোহাটা রানি পতিত পাবণী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র ছিল। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফারুক শিকদারের ছেলে আশিক, বিপ্লব ও হাসিব শিকদার দুই ভাইকে খুঁজতে বাড়িতে আসে। তারা আমার দুই ভাইকে ডাব খাওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সকালে আমার দুই ভাইয়ের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়।
মাগুরার সহকারী পুলিশ সুপার (শালিখা সার্কেল) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিহত দুই ভাই শনিবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পরিবারের লোকজন রাত থেকে তাঁদের খোঁজাখুঁজি করছিলেন। সকালে স্থানীয় লোকজন পানিঘাটা গ্রামের একটি মাঠে তাঁদের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁদের গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে হত্যার কারণ জানা যায়নি।
মহম্মদপুর থানার ওসি মো: বোরহান উন ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধারের পর হত্যার মোটিভ উদ্ধারে মাঠে নামে পুলিশ। তাৎক্ষনিকভাবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই মূল হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা হয়।