স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধানবার্তা:
মসজিদ নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরেই একের পর এক হয়রানি করা হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন বগুড়ার ধুনট উপজেলার বিশ্বহরিগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমরুল কায়েস। ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক উপ-সচিব তাকে এই হয়রানি করছেন বলে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে ধুনট মডেল প্রেসক্লাবে লিখিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
লিখিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান শিক্ষক ইমরুল কায়েস বলেন, আমার বাড়ির পাশে একটি মসজিদের জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমার আত্বীয় ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব খান নাজমুস সোয়েবের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে। একারনে আমরা মহল্লার লোকজন আরেকটি মসজিদ নির্মান করে নামাজ আদায় করছি। এতে ওই সচিব ক্ষিপ্ত হয়ে তার বাড়ির কেয়ার টেকার আমার বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মহিয়া খাতুনের বাবা আব্দুস সালাম এবং বহিরাগত ১০/১২ জন ব্যক্তিকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে মিথ্যা এবং বানোয়াট গল্প বানিয়ে দূর্ণীতির মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। যা তদন্ত করে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু এরপরও আমাকে হয়রানি করতে ওই সচিব অভিভাবক আব্দুস সালামকে দিয়ে মেয়ে ও ভাগিনাকে ফেল করে দেওয়া হয়েছে বলে আরেকটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, প্রকৃতপক্ষে ৫ম শ্রেণীর ৬৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৪ জন ফেল করে। আব্দুস সালামের মেয়ে ৫টি বিষয়ে এবং তার ভাগিনা ৬টি বিষয়েই ফেল করেছে। তাদের খাতাগুলো সহকারী শিক্ষকগণ মূল্যায়ন করেছেন। কিন্ত তারপরও আমাকে হয়রানী করতে বিভিন্ন দপ্তরে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হচ্ছে এবং বিভিন্ন নম্বর থেকে আমাকে ফোন দিয়ে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করছে। তাদের এসব হয়ারানির কারনে পরিবার পরিজন দিয়ে দূর্বিসহ জীবন যাপন করছি। তাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের এসব হয়রানি থেকে বাঁচতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
তবে এবিষয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা উপ-সচিব খান নাজমুস সোয়েব বলেন, এলাকায় না থাকলেও অনেক উন্নয়ন কাজ করেছি। কিন্তু ওই প্রধান শিক্ষক প্রায় কাজেই বাধা দিত। এছাড়া বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাত সহ বিভিন্ন অনিয়মের কারনে অভিভাবক এবং স্থানীয়রা তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছে। একারনে তাকে বদলীও করা হয়েছে। তাই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার সুনাম ক্ষুন্ন করতে সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা তথ্য উত্থাপন করেছে।