নন্দীগ্রামে প্রধান শিক্ষক লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি: অনুসন্ধানবার্তা
বগুড়ার নন্দীগ্রামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা দখলে বাধা দেওয়ায় প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছেন মাদ্রাসার দুই শিক্ষক। উপজেলার থালতা-মাঝগ্রাম ইউনিয়নের সাঁড়াদিঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় শিক্ষার্থী ও স্কুল সংশ্লিষ্টরা ক্ষোভে ফুঁসছেন।

শনিবার কুমিড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শফিকুল ইসলাম জানান, থানায় অভিযোগের পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই বিবাদী মাদ্রাসার দুই শিক্ষক এলাকায় নাই। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত শুক্রবার সাঁড়া দারুস সালাম দাখিল মাদ্রাসার দুই শিক্ষককে বিবাদী করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন সাঁড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা (৫৫)। তিনি পাঠান গ্রামের মৃত শাহাদত আলীর ছেলে।

এরআগে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সাঁড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফার ওপর হামলা চেষ্টার ঘটনা ঘটে। বিবাদীরা হলেন- সাঁড়াদিঘড় এলাকার মৃত আনছার আলী মন্ডলের ছেলে সাঁড়া দাখিল মাদ্রাসার ক্বারী ইদ্রিস আলী এবং পাঠান মির্জাপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মাদ্রাসার কেরানী শহিদুল ইসলাম।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, সাঁড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা ও নতুন ওয়াস ব্লক ঘেঁষে জোরপূর্বক বাঁশের বেড়া (প্রতিবন্ধকতা) নির্মাণকাজ করছিলেন সাঁড়া মাদ্রাসার দুই শিক্ষক ইদ্রিস ও শহিদুল। স্কুলের সীমানা দখল করতে নিষেধ করার পরও কাজ বন্ধ না হওয়ায় বাধা দেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। দখল কাজের ভিডিও ধারণ করায় মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে লাঞ্ছিত করে মাদ্রাসার দুই শিক্ষক।

এ ব্যাপারে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মাদ্রাসার ক্বারী ইদ্রিস আলী ও কেরানী শহিদুল ইসলামের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ প্রসঙ্গে বগুড়া জেলা শিক্ষা অফিসার মো. হযরত আলী বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।