বগুড়ার শিবগঞ্জ এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি: অনুসন্ধানবার্তা
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরের উপ-সহকারী আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগও দেয়া হয়েছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের রাজস্ব এডিপি ১০ ভাগ এবং ১৫ ভাগ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের প্রাক্কলন প্রণয়নে ১ ভাগ উৎকোচ গ্রহন করেন এবং বাস্তবায়নের পর আরো ২ ভাগ টাকা নিয়ে বিলে স্বাক্ষর করেন এলজিইডির উপ-সহকারী আব্দুর রশিদ। এমনকি ফাইল আটকেও উৎকোচ গ্রহণ করেন তিনি।

জানাগেছে, ১২ বছর পূর্বে তিনি উপ-সহকারী পদে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে দূর্নীতির করে বাড়ী, গাড়ীসহ বনে যান কোটিপতি। তিনি ৪২ লক্ষ টাকা মূল্যের গাড়ীতে করে কর্মস্থলে যাতায়াত করেন। শুধু তাই নয়, এই কর্মকর্তা দূর্নীতির টাকা দিয়ে বগুড়া শহরে কলোনীতে ৫ কাটা জমি ক্রয় করে ২ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তুলেছে তিন তলা ভবন।

বগুড়া শহরে বসবাস করার সুবাদে ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদের সাথে ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে তার দূর্নীতির ফাঁদের পরিধি বৃদ্ধিও আব্দুর রশিদ। তবে শুধু বগুড়াতেই নয়, তার জয়পুরহাটে শহরেও রয়েছে বিলাস বহুল বাড়ী, স্ত্রী ও মেয়ের জন্য গড়েছে ৩০ ভরী স্বর্ণালংকারও।

মোকামতলা ইউপি চেয়ারম্যান আহসান হাবিব সবুজ বলেন, উপ-সহকারী আব্দুর রশিদ প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে ডাব্লুবিএম কার্পেটিং প্রকল্পের কাজ ভুল ধরে উৎকোচ নেয়। শুধু তাই নয়, ভাগের টাকা আদায় করতে কর্মঘন্টার সময় পেরিয়ে গেলেও সন্ধ্যা পর্যন্তও থাকেন কর্মস্থলে। রাস্তা নির্মাণে বিটুমিন কম, কম পুরুত্ব কার্পেটিং, ডাস্ট ও কাঁটাপাথার ব্যবহার না দেওয়ায় ঠিকাদারের কাছ থেকে টাকার ভাগ নেন তিনি। তাকে ঘুষ না দিলে কোন কাজই হয় না।

ইউপি চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম বলেন, আব্দুর রশিদকে উৎকোচ প্রদান না করলে আমাদের কাজের ভুল ধরে টাকা আদায় করে আসছে। এমনকি বিভিন্ন নেতার ছবি দেখিয়ে আমাদেরকে হুমকিও প্রদান করে আসছে।

তবে এবিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরের উপ-সহকারী আব্দুর রশিদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সঠিকভাবে কাজ বুঝে নেওয়ায় অনেকই ক্ষিপ্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

এবিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী সুমন মাহমুদ বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবগত করা হযেছে।