পোশাক তৈরি

আবু তৈয়ব সুজয়, কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: অনুসন্ধানবার্তা
পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নেই পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কারিগররা। চলছে রমজান মাস অন্যদিকে আসছে পহেলা বৈশাখ, এই দুই উৎসবকে সামনে রেখে কর্ম ব্যস্ততায় সময় পার করছে পোশাক তৈরি কারিগররা। বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক তৈরি এবং ফিটিং করতে ব্যস্ত সময় পার করছে তারা।

সরেজমিনে কাজিপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পার করছে তারা। মেয়েদের থ্রী পিচ, লং ফ্রক, ছেলেদের পায়জামা, পাঞ্জাবী, শার্ট তৈরি করছেন। ঈদ ঘনিয়ে আসছে এর মাঝে যেনো নাওয়া-খাওয়া বন্ধ করেই রাত দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তারা। নির্ধারিত সময়ের মাঝে পোশাক ডেলিভারি দেওয়াই তাদের এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

এদিকে কাপড়ের দোকান থেকে পছন্দের কাপড় কিনে ক্রেতারা ছুটছেন বিভিন্ন দর্জির দোকানগুলোতে। তবে এদের মধ্যে বিভিন্ন বয়সী নারী ক্রেতার সংখ্যা বেশি রয়েছে।

সোনামুখী বাজারের খালেক টেইলার্সের মালিক আব্দুল খালেক জানান, প্রতি বছরই তৈরি পোশাকের চাহিদা বাড়তেই থাকে। এই বছরে তার ভিন্নতা নাই। বছরের দুই ঈদে পোশাক তৈরি আমাদের জন্য ব্যাপক চ্যালেঞ্জ হয়ে যায়। তবুও মানুষের ঈদকে আনন্দিত করার জন্য আমরা রাত দিন ব্যপক পরিশ্রম করে যাই।

কারিগররা জানায়, বিভিন্ন ডিজাইনের অনুযায়ী মেয়েদের থ্রী পিচের মজুরী ২৫০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকা, বোরকার মজুরী ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত, অন্যদিকে পুরুষদের শার্টের পিচের মজুরী বিভিন্ন ডিজাইনের উপরে ২৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত এবং প্যান্টের মজুরী ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।