ধুনটে চাচাকে হত্যার ২৪ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি: অনুসন্ধানবার্তা
বগুড়ার ধুনটে চাচাকে হত্যার ২৪ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ভাতিজা আব্দুর রহিমকে (৭২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (২০ মে) গ্রেফতারকৃত আসামীকে বগুড়া আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আসামী আব্দুর রহিম ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের প্রতাপ খাদুলী গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে। তিনি দীর্ঘ বছর ধরে নাম ও পরিচয় গোপন করে স্বপরিবারের আত্মগোপনে ছিলেন।

পুলিশ জানায়, ১৯৯৯ সালের ৬ আগষ্ট ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের প্রতাপ খাদুলী গ্রামের মৃত ইব্রাহীম খানের ছেলে গোলাম রহমান মাষ্টার জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন। এঘটনায় নিহতের স্ত্রী খুরশিদা বেগম বাদী হয়ে ধুনট থানায় মামলা দায়ের করেন। ধুনট থানা পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে ৪ জন আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ওই মামলায় দীর্ঘ শুনানী শেষে ২০২৪ সালের ২৩ এপ্রিল বগুড়ার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, ২য় আদালত আব্দুর রহিম সহ দুই আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।

পুলিশ আরো জানায়, মামলা হওয়ার পর নিহতের ভাতিজা আসামী আব্দুর রহিম গ্রেফতার হয়ে ১৯ মাস হাজত খাটার পর জামিনে মুক্ত হয়ে স্বপরিবারে আত্মগোপন করেন। তিনি নিজের নাম পরিবর্তন করে ছদ্দবেশ নাম শহিদুল ইসলাম, পিতা-মৃত গোলাম হোসেন, গ্রাম-ঢাংগীপুকুর, জেলা সদর ঠাঁকুরগাঁও হিসেবে পরিচয় দিতেন। এছাড়া তিনি গড়েয়া ফাজিল মাদ্রাসায় চাকুরী করতেন এবং দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার চাপাপাড়া মসজিদের খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

এবিষয়ে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈকত হাসান জানান, প্রায় ২৪ বছর পলাতক থাকার পর ধুনট থানা পুলিশের চৌকশ টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীর অবস্থান সনাক্ত করে। পরবর্তীতে সোর্সের মাধ্যমে রবিবার রাতে বগুড়ার শেরপুর থানার সীমাবাড়ী এলাকায় তার এক আত্মীয় বাড়িতে যাওয়ার পথে চাঁন্দইকোনা বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।