ধুনটে একের পর এক বাড়িতে চুরি, আতঙ্কে মানুষ

ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় একের পর এক বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেই চলেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এসব চুরি ঘটনায় নামে মাত্র কয়েক জন থানায় অভিযোগ দিলেও অন্যান্য চুরির ঘটনায় নিরুপায় ভুক্তেভোগিরা।

জানাগেছে, গত ৮ জুলাই দিবাগত রাতে উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম দুলালের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। এসময় চোর চক্রের সদস্যরা চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে ১৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে নিয়ে গেছে বলে দাবি করা হয়েছে।

এছাড়া ১০ জুলাই দিবাগত রাতে কালেরপাড়া ইউনিয়নের ইসলামপুর ঈশ্বরঘাট গ্রামের সুজন মিয়া নামে এক কৃষকের ঘরের সিঁধ কেটে নগদ ৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা, ২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৪টি মোবাইল ফোন ও জমির কাগজপত্রসহ নতুন কাপড়-চোপড় চুরি করে নিয়ে গেছে।

তাছাড়া ১২ জুলাই শুক্রবার দিবাগত রাতে একই ইউনিয়নের উত্তর কান্তনগর গ্রামের জাবেদ আলী ও বাবুল মিয়া নামে ২ ব্যক্তির বাড়ির সিঁধ কেটে চুরির ঘটনা ঘটে।

১৪ জুলাই একই রাতে সরুগ্রামের ৫টি বাড়িতে সিঁধ কেটে চুরির ঘটনা ঘটেছে। হিরা লাল রবিদাসের ছেলে ঠান্ডু রবিদাস ও বিশু রবিদাসের ঘরে সিঁধ কাটে নগদ টাকা, মোবাইল, কাপড় চুরি করে। একই রাতে পাশ্ববর্তি সহরাব মন্ডলের ছেলে সুজন ও সাকিলের ৩টি ঘরে সিঁধ কেটে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে নিয়ে চক্রটি।

এছাড়া ১৫ জুলাই একই রাতে চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের বিষ্ণপুর গ্রামের মৃত মোতাজ্জেল হোসেনের ছেলে আব্দুস সালাম, আব্দুস সামাদ, প্রতিবেশি আজিবর রহমান এবং সর্বশেষ ১৬ জুলাই রাতে কালেরপাড়া ইউনিয়নের সরুগ্রামের হাফিজার মোল্লার ঘরে সিঁধ কেটে চুরির ঘটনা ঘটে। চোর চক্রটি এসব বাড়ি থেকে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা ও কাপড় চুরি করে নিয়ে গেছে।

এবিষয়ে কালেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন শিপন জানান, এপর্যন্ত এই ইউনিয়নে ৫/৬টি চুরির সংবাদ পেয়েছি। তন্মধ্যে ২/৩ জন থানায় জিডিও করেছেন। তাদের বাড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকা ও স্বার্ণালংঙ্কার সহ মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে। তবে এসব ধারাবাহিক চুরির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এবিষয়ে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈকত হাসান বলেন, এই চোর চক্রকে ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। দ্রুত এই চোর চক্রকে গ্রেফতার করা হবে।