স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধানবার্তা:
র্যাব-১২ এবং র্যাব-১ এর যৌথ অভিযানে সিরাজগঞ্জের চাঞ্চল্যকর আশফাকুল হত্যা মামলার অন্যতম পলাতক আসামি লিটন শেখকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামি লিটন শেখ (৩৫) সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের নেলছা পাড়া এলাকার ইসমাইল সেখের ছেলে। মঙ্গলবার গ্রেফতারকৃত ওই আসামীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
র্যাব জানায়, গত ২০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার দিকে দুর্বৃত্তরা ভিকটিম আশফাকুল আউয়ালকে মোবাইল ফোনে সংবাদ দিলে ভিকটিম সিরাজগঞ্জ সদর থানাধীন কাঠের পুল নামক স্থান থেকে নিজস্ব মোটরসাইকেল যোগে সিরাজগঞ্জ সদর থানাধীন উত্তোরণ মহিলা কলেজের কাঁচা রাস্তায় পৌছায়।
পরে ভিকটিম এজাহারনামীয় আসামিদের “এ্যানজেল ফুড এন্ড বেকারী” এর অফিস কক্ষে প্রবেশ করে তাদেরকে উক্ত অফিস কক্ষে উপস্থিত পেয়ে ভিকটিম তার পাওনা টাকা চাইলে একপর্যায়ে তাদেরদের সাথে ভিকটিমের কথাকাটি হয়। ঘটনার এক পর্যায়ে আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভিকটিম আশফাকুল আউয়ালকে গলা চেপে হত্যা করে। অতঃপর দুর্বৃত্তরা ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার হীন উদ্দেশ্যে একপর্যায়ে ভিকটিমকে নিয়ে আভিসিনা হাসপাতালে নিয়ে জরুরী বিভাগে রেখে এজাহারনামীয় ২নং আসামি দেওয়ান শহিদুজ্জামান শুভ ভিকটিমের জামাতা মোহসেনুল মোমিনকে মোবাইল ফোনে জানায় যে, ভিকটিম আশফাকুল আউয়াল অসুস্থ্য এবং সে আভিসিনা হাসপাতালে ভর্তি আছে। অতঃপর ভিকটিমের বোন জামাতাসহ ভিকটিমের ভাই আভিসিনা হাসপাতালে গিয়ে ভিকটিমকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনার পর উক্ত আসামিদেরকে দ্রুত গ্রেফতার এবং বিচারের দাবিতে এলাকাবাসী লিফলেট ও পোস্টার ছাপানোর মাধ্যমে মানববন্ধন করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর অধিনায়ক কামরুজ্জামান পিপিএম এর দিকনির্দেশনায় গত ১৮ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র্যাব-১২, সদর কোম্পানি সিরাজগঞ্জ এবং র্যাব-১, ব্যাটালিয়ন সদর, উত্তরা এর যৌথ আভিযানিক দল ‘‘ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায়’ একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় হত্যা মামলার এজাহারনামীয় অন্যতম পলাতক আসামি লিটন শেখকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এবিষয়ে র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর অপস্ অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার উসমান গণি জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।