স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার ধুনটে সরকারি জলমহালের পাহারা ঘরে আগুন লাগিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুনে ওই ঘরে রক্ষিত মাছ ধরার জাল, মাছের খাদ্য, অ্যারোটার মেশিন সহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এঘটনায় রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে ওই জলমহালের পক্ষে মথুরাপুর ইউনিয়নের অলোয়া গ্রামের মৃত মোকবেল হোসেনের ছেলে ইউনয়ন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ আশাদুল ইসলাম বাদী হয়ে ধুনট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এদিকে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার সংবাদ পেয়েই রবিবার বিকালে ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম সহ পুলিশ অফিসারগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
অভিযোগ ও স্থানীয়সূত্রে জানাগেছে, গত ১৬ই ডিসেম্বর মথুরাপুরের শহীদ মিনারে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় সম্প্রতি ধুনট থানায় পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
পৃথক মামলার মধ্যে মথুরাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান জেমস মল্লিকের পক্ষে আল আমিন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ইউনিয়ন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ আশাদুল ইসলাম সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় মামলা করেন।
অপরদিকে ইউনিয়ন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ আশাদুল ইসলাম বাদী হয়ে মথুরাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ জেমস মল্লিক সহ ২০ জনের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় পাল্টা আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
তবে মামলা দায়েরের একদিন পরই বাদী বিএনপি নেতা আশাদুলকে হত্যার উদ্দ্যেশে তার জলমহালে হামলা করা হয়। কিন্তু সই সময় মামলার বাদী নৌকায় জলাশয়ের মাঝে অবস্থান করায় তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন বলেও জানান তিনি। -অনুসন্ধানবার্তা
এবিষয়ে বিএনপি নেতা আশাদুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করার পরই আমাকে প্রাণনাশের চেষ্টা চালায়। এর দুই দিন পর তারা রাতের আধারে আমাদের লিজকৃত জলমহালের পাহারা ঘরে আগুন লাগিয়ে সব কিছু পুড়িয়ে দিয়েছে। এতে আমাদের প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। পরে সংবাদ পেয়ে ধুনট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এবিষয়ে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুল আলম বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এবিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।