স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার ধুনট পৌর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নিয়ামুল আলম তালুকদারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দেয়াল ভেঙ্গে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে প্রতিপক্ষরা। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ধুনট বাজারের তুলাপট্টি এলাকায় আশিকা ফ্যাশান হাউজে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা দুটি ইটের দেয়াল ভেঙ্গে নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। এঘটনায় থানায় মামলা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ওই ব্যবসায়ী।
অভিযোগ ও স্থানীয়সূত্রে জানাগেছে, ধুনট বাজারের তুলাপট্টি এলাকায় মৃত মহসীন আলম বুলবুল তালুকদারের ছেলে নিয়ামুল আলম তালুকদার পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত ১৯শতক জমিতে বসতবাড়ি, দুটি দোকান ও একটি গোডাউন ঘর নির্মাণ করে দীর্ঘ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছেন। কিন্তু জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ২৪ সালের ১২ জুলাই প্রতিবেশি ময়নুল ইসলামের ছেলে রওশন আলম ও মৃত আকবর হেকিমের ছেলে আজাহার আলী সহ ১০/১২ ব্যক্তি বিএনপি নেতা নিয়ামুল আলম তালুকদারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায়। এঘটনায় ওই বছরের ১৫ জুলাই নিয়ামুল আলম বাদী হয়ে রওশন আলম ও আজাহার আলী সহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে ওই ঘটনার জের ধরে শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রতিপক্ষরা আবারো ওই বিএনপি নেতার দোকানে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে গোডাউনের পিছনের ইটের দেয়াল ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে দুটি সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করে এবং ক্যাশ ভেঙ্গে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এবিষয়ে বিএনপি নেতা ব্যবসায়ী নিয়ামুল আলম তালুকদার বলেন, জমি নিয়ে আদালতে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। বিজ্ঞ আদালত স্থিতিবস্থার আদেশ প্রতিপালনের নিমিত্তে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ধুনট থানার ওসিকে নির্দেশও দিয়েছেন। কিন্তু প্রতিপক্ষরা আদালতের নির্দেশনা অমাণ্য করে প্রকাশ্য দিবালোকে আমার দোকানের দুটি দেয়াল ভেঙ্গে ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে।
তিনি বলেন, ইতিপূর্বেও প্রতিপক্ষরা স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডার ভাড়া করে নিয়ে এসে আমার দোকানে প্রকাশ্যে হামলা ও লুটপাট চালিয়েছিল। সেই সময় আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ক্যাডারদের নাম বাদ রেখেই ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছিল পুলিশ। এরই জের ধরে শুক্রবার রওশন আলম ও আজাহার আলী আবারো বহিরাগত সন্ত্রাসী ভাড়া করে নিয়ে এসে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু টাকা দিতে না পারায় তারা আমার দোকানে দ্বিতীয় দফা হামলা ও লুটপাট চালায়। এঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
এবিষয়ে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুল আলম বলেন, সংবাদ পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।